দেশ বিদেশ
শেখ হাসিনার পাশে খালেদাকে বসানো বেমানান, অর্থহীন: যুবলীগ
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ মে ২০২২, শনিবারযুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পাশে খুনি জিয়াকে বসানো যেমন অসম্ভব, তেমনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পাশে খালেদা জিয়াকে বসানো বেমানান, অর্থহীন। আবার শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশে তারেক জিয়াকে মেলানোও বোকামি। কোথায় সজীব ওয়াজেদ জয়, আর কোথায় তারেক, এক হলো? এ কারণেই এদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল যুবলীগ দক্ষিণের বর্ধিত সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিখিল বলেন, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাদের মতো বুদ্ধিজীবীরাই নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে খুনি জিয়া পরিবারের তুলনা করে থাকেন। তিনি বলেন, এই ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আমাদের কাছে যেমন আনন্দদায়ক তেমনি বেদনাদায়কও বটে। বেদনাদায়ক এই কারণেই যে, ২০০৪ সালে ২১শে আগস্ট খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমার নেত্রী শেখ হাসানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তারেক জিয়া। কিন্তু কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হয়তো ইতিমধ্যেই ভুলতে বসেছেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ১৭ই মে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ই মে যুবলীগের আলোচনা সভা সফল করার লক্ষ্যে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন- ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে যে নির্মম অত্যাচার করেছে, আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, হাত-পায়ের রগ কেটে পঙ্গু করে দিয়েছে, চোখ উপড়ে দিয়েছে, মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। তাই এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামায়াতকে রুখতে হলে ঐক্যবদ্ধ যুবলীগের বিকল্প নেই। আমরা আমাদের প্রিয় নেতা যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ করবো। এ সময় বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, আবু সাঈদ মোল্যা, মাহাবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ উজ-জামান।