দেশ বিদেশ
ভ্যাকসিন তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৫ কর্মকর্তা
সংসদ রিপোর্টার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবারদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যেখানে করোনা ভ্যাকসিনসহ সকল ধরনের টিকা উৎপাদন করা যাবে। কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যে ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভ্যাকসিন তৈরির ওপর প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বিদেশে প্রশিক্ষণে যাবেন। গতকাল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) কর্তৃক গোপালগঞ্জে বাস্তবায়িত ওই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর ও মো. আমিরুল আলম মিলন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের কারণে সারা বিশ্বে নতুন এই রোগের ভ্যাকসিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় সংসদীয় কমিটি গত বছর বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরির সুপারিশ করে। প্রথমে বিদেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন এনে তা বাংলাদেশে বোতল ও মোড়কজাতকরণের চিন্তা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউট স্থাপনে একটি পরিপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
কমিটি প্রাথমিকভাবে গোপালগঞ্জে অবস্থিত এসেনশিয়াল ড্রাগসের ইউনিটের সঙ্গে এই কারখানা স্থাপনের সুপারিশ করে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর কাছে প্রস্তাব দেয়। এডিবি’র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি গোপালগঞ্জ পরিদর্শন শেষে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ফান্ড প্রদানে সম্মতি দিয়েছে। এই কারখানা স্থাপনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। এডিবি’র অর্থায়নে এসেনশিয়াল ড্রাগসের ৫ কর্মকর্তাকে ভ্যাকসিন তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যদের পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক জানান, ভ্যাকসিন কারখানা স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। সেখানে কোভিডসহ সব ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এডিবি এতে ফান্ডিং করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও জানান, ইডিসিএল’র ৫ জন কর্মকর্তা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। যেহেতু এটা আমাদের জন্য নতুন, কাজেই বিদেশে আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পর্যায়ক্রমে অন্য কর্মকর্তারা বিদেশে প্রশিক্ষণে যাবেন। এদিকে বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বিল-২০২২’ নিয়ে আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকবৃন্দকে গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়।