দেশ বিদেশ
রাজধানীতে বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবাররাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের একটি বাসা থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে ওই ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- নোমান (২৮) ও শামীমা (২২)। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শামীমার পরিবার জানান, এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শামীমা এইচএসসি পরীক্ষা দিবে। পড়াশোনার কারণে তাকে তুলে দেয়া হয়নি। পরীক্ষার পর তাকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। নোমান দেশে এসে ঢাকা ঘুরিয়ে দেখানোর কথা বলে হত্যা করে নিজেই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। বিদেশে থাকতে নোমানের সঙ্গে শামীমার কোনো মনোমালিন্য ছিল না বলেও জানান তারা। নোমানের ফুপা কামাল হোসেন জানান, নোমান সৌদি আরব থাকতেন। দেশে এসে পারিবারিকভাবে শামীমাকে গত নভেম্বরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নোমান আবার সৌদি চলে যায়। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সৌদি আরব থেকে দেশে আসে। এসে সরাসরি তার শ্বশুরবাড়ি থেকে শামীমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এসে তার এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রোববার রাতে খবর পাই নোমান ও শামীমা মারা গেছেন।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মুজিব পাটোয়ারী জানান, রোববার দারোয়ানের কাছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা থাকলেও সারাদিন না দেয়ায় দারোয়ান রাতে তাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দুজনকে মৃত অবস্থায় পায়। তিনি আরও জানান, দু’জনের মধ্যে নোমান ঝুলন্ত অবস্থায় এবং শামীমা মেঝেতে পড়ে ছিল। পুলিশ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে নোমান ও শামীমার বাড়ি ভোলায়। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।