অর্থ-বাণিজ্য
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমালো এডিবি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার, ৫:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। বুধবার প্রকাশিত এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বাড়তে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আগে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছিল ঋণদাতা এই সংস্থাটি। এডিবি বলছে, যুদ্ধের জেরে রপ্তানিতে প্রভাব, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে এ অর্থবছর প্রবৃদ্ধির গতি কমে আসবে।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে বলে গত এপ্রিলের প্রাক্কলনে ধারণা দিয়েছিল এডিবি। তবে শিল্প ও সেবা খাত প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারায় এবং ভালো রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ভোগ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সরকারি হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। আর চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আমদানি কমে এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২ অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক রপ্তানি মন্দা এর জন্য প্রধান ঝুঁকি।
বুধবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে তাদের এ প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, সরকার দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে তুলনামূলক ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এবং এই অসম পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে। তবে এ ধরনের সময় মধ্যম পর্যায়ে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সংস্কারের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারের উপযোগিতা বাড়ানো, অর্থ বাজারের উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতে ফলপ্রসূ চাকরি তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের প্রচারণা।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের অনিশ্চয়তা সংস্কার কর্মসূচীকে গতিশীল করার ভালো নিয়ামক হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জন ও স্থানীয় টেকসই জ্বালানির সরবরাহ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমতে পারে।
মন্তব্য করুন
অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন
অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত
বেশি মূল্যে ডলার কেনাবেচা/ ১৩ ব্যাংকের ব্যাখ্যা চাইলো বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই অর্থনীতিবিদ/ ব্যাংক ও রাজস্ব খাত এভাবে চলতে পারে না

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]