বাংলারজমিন
মামলা থেকে নাম বাদ দিতে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি
৪ জুন ২০২৫, বুধবারনাটোরের গুরুদাসপুরের একটি মারামারির মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে। আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের বিরুদ্ধে রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার গোলাম রাব্বির কাছে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, গত ১৫ই মে পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে দুর্বৃত্তরা মারপিট করে। এ সময় আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এরই জেরে পরদিন মামলায় প্রবাসী রাসেলকে ১নম্বর আসামি করে মামলা করেন ফরিদ মোল্লা। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধা। এরপর থেকে তিনি প্রবাসীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে ঘুষ দাবি করতে থাকেন। একপর্যায় গত ২রা জুন মোবাইল ফোনে ম্যানেজার গোলাম রাব্বির কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। ঈদের আগেই এক লাখ টাকা দিতে হবে বলেও জানান। এ বিষয়ে গোলাম রাব্বি বলেন, আমি রাসেল ভাইয়ের ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশোনা করি। কিছুদিন পূর্বে একটি মারামারির মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় তার নাম দেয়া হয়েছে এক নম্বরে। সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। গত সোমবার রাতে আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার দাবি করে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এসআইয়ের ঘুষ দাবির বিষয়টি রেকর্ড করে প্রতিকার পাওয়ার জন্য নাটোর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইন জানান, একটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মারপিটের মামলায় আমাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। যেখানে আমি দেশে নাই। এসআই মৃধা রাব্বিকে ফোন দিয়ে মামলায় নাম কাটার শর্তে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তার মুখে সরাসরি এমন কথা শুনে আমি আতঙ্কিত। এসআই আবু জাফর মৃধা মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এ সকল অভিযোগ সত্য নয়। নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।