দেশ বিদেশ
মেয়র পদের গেজেটের বিষয়ে জানতে সিইসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ইশরাক
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় পাওয়ার পর গেজেটের বিষয়ে জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার বেলা ২টার পরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি’র কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এই সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, কয়েক দিন আগে আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলার একটি রায় পেয়েছি। সেই রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এবং সেটি কীভাবে কার্যকর করা হবে, সেই আলাপ করার জন্য সিইসি মহোদয়ের কাছে এসেছি। মেয়র পদে কতোদিনের জন্য দায়িত্ব পাবেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেছেন, গেজেট প্রকাশের পর আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে বসে আমি সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো। সবকিছু আইন মেনেই করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, একটা অপপ্রচারের জবাব আপনাদের মাধ্যমে দিতে চাই। অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, এত বছর পরে কেন? এটা এমন না যে, ৫ই আগস্টের পরে আমি কোর্টে গিয়ে একটা রায় লিখে এনেছি। মামলাটি কবে করা হয়েছে আপনারা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে হয়। সেই সময় অনুযায়ী করা হয়। সকল প্রমাণ ও সাক্ষী আমরা কোর্টকে দিয়েছি। তিনি বলেন, বিগত ৫ই আগস্টের আগে দেশে আইনের শাসন ছিল না। এই মামলার নিয়ম হচ্ছে ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আমার প্রতিপক্ষ (ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস) বার বার প্রভাব খাটিয়ে রায়কে প্রলম্বিত করেছেন। যারা ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে ছিল, তাদেরকে হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যেভাবেই হোক, বার বার টাইম পিটিশন দিয়েই হোক আবেদন করে মামলাটি চলমান রেখেছিলাম। পরবর্তীতে এটা ডিউ প্রসেস হয়েই আমি রায়টি পেয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে চলতি বছরের গত ২৭শে মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। সেই রায়ের প্রায় এক মাস পর গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে।