বিশ্বজমিন
তাইওয়ানে সেনা না পাঠানোর কথা প্রত্যাহার করেছে চীন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১০ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ৮:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ অপরাহ্ন
তাইওয়ান ইস্যুতে প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করেছে চীন। এর আগে তারা বলেছিল, যদি তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়ে নেয়, তাহলে সেখানে চীনা সেনা পাঠাবে না অথবা প্রশাসনিক কর্মকর্তাও পাঠাবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করেছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এ বিষয়ক একটি সরকারি ডকুমেন্ট দেখতে পেয়েছে। এতে ইঙ্গিত মিলছে যে, এর আগে তাইওয়ানকে যে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তা থেকে কমই তাদেরকে অধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাইওয়ানকে চীন তার নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ওই দ্বীপরাষ্ট্রটি সফর করেন। এতে বেইজিংয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। তারা অস্বাভাবিকভাবে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া করে। এমন সময় চীনের ওই শে^তপত্র মিডিয়ার নজরে এসেছে।
এর আগে দুটি শে^তপত্র প্রকাশ করেছে চীন। একটি ১৯৯৩ সালে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি প্রস্তাব করেছিল যে, ‘একদেশ দুই ব্যবস্থা’র অধীনে শাসনে ফিরতে পারবে তাইওয়ান।
এটা সেই পদ্ধতি, যে পদ্ধতিতে সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং চীনের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছিল ১৯৯৭ সাল থেকে। এ ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। যাতে তারা তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে।
ওদিকে তাইওয়ানের মূলধারার সব রাজনৈতিক দল চীন প্রস্তাবিত এক দেশ দুই ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ব্যবস্থার বিষয়ে জনমত জরিপেও কোনো সমর্থন পায়নি। তাইওয়ানের সরকার বলেছে, এই দ্বীপটির ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে এর জনগণ।
২০০০ সালের শে^তপত্রে বলা হয়েছিল, যেকোনো বিষয়ে সমঝোতা করা যাবে, যতকক্ষণ তাইওয়ান মেনে নেবে এক চীনকে, তারা স্বাধীনতা চাইবে না। এসব কথাও সর্বশেষ শে^তপত্রে অনুপস্থিত। এই শে^তপত্রের নিন্দা জানিয়েছেন তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল। তারা বলেছে, এতে পুরো মিথ্যায় ভরা এবং সত্যকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। তাইওয়ানের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষই তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।