দেশ বিদেশ
মিয়ানমার ভূমিকম্পের শক্তি ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান
মানবজমিন ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২৫, রবিবার
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শক্তি ছিল ৩৩৪টি পারমাণবিক বোমার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ জেস ফনিক্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের ভূমিকম্প যে পরিমাণ শক্তি নির্গত করেছে, তা প্রায় ৩৩৪টি পারমাণবিক বোমার সমান। সতর্ক করেছেন তিনি। বলেছেন, আরও অন্তত দু’মাস মিয়ানমার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে। ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর মিয়ানমারের অবস্থান। এ দু’টি প্লেটের স্থানান্তরের কারণেই ভূমিকম্প হয়েছে। এই স্থানান্তর আরও ২ মাস পর্যন্ত চলবে। এ কারণে আগামী দু’মাস ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে মিয়ানমার। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন ধ্বংস্তূপ থেকে ১ হাজারের বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ জনকে। এছাড়া ৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও। এই ৭ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপিডো, সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো ও পূর্ব শান্ত এই ছয় প্রদেশ ও অঞ্চলে ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক সরকার। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শক্তিশালী কম্পনে ন্যাপিডো, সাগাইং, মান্দালয়সহ পাঁচটি শহরে ভবন ধসে পড়েছে। এ ছাড়া একটি সেতু ও একটি রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ইরাবতি নদীর ওপর আভা সেতু ধসে পড়েছে। সেতুটি ভেঙে পানির মধ্যে হেলে পড়েছে।