দেশ বিদেশ
বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা: সাইফুল আলম
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেছেন, যারা ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদকে ঘিরে কোনো বাস কাউন্টার বা সংশ্লিষ্ট কেউ ঈদ বকশিশ বা অন্য যেকোনো নামে টাকা আদায় করলে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরম খাঁ হলে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, যাত্রী হয়রানি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও সড়ক পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।
সাইফুল আলম বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখনো তারা গোপনে গোপনে এসব কাজ করছে। তবে আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় আমরা লক্ষ্য করি মোটরসাইকেলে একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ দূরপাল্লার গন্তব্যে যাতায়াত করেন। এতে প্রতি বছরই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিশোর বয়সের ছেলেরা দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে। আহত হচ্ছেন অনেকে। ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে যাতায়াতকে নিরুৎসাহিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিআরটিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
সাইফুল আলম বলেন, আওয়ামী সরকার সড়ক পরিবহন সেক্টরকে দলীয়করণসহ চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল এবং সকল ক্ষেত্রে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করেছে। গত ৫ই আগস্টের পর ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সকল প্রকার চাঁদা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত বহাল আছে। শুধুমাত্র স্ব-স্ব পরিবহন কোম্পানি/কাউন্টার মালিকরা তাদের নিজ নিজ পরিবহন পরিচালনার প্রয়োজনে মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালনা ব্যয় নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি বা কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশন কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট বা জড়িত নয়। স্ব-স্ব পরিবহন কোম্পানি/কাউন্টার মালিকগণ কোম্পানি আইনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাবের জবাবদিহিতার দায়ভার তাদের নিজেদের। তারপরও আমরা সমিতিগতভাবে অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধ করা বা চাঁদাবাজির নামে অতিরিক্ত কোনো অর্থ যাতে গাড়ি থেকে আদায় না করা হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং ভবিষ্যতেও করবো। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাইফুল আলম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে যে পরিমাণ যাত্রী সড়ক পথে যাত্রা করবেন নির্দিষ্ট সংখ্যক গাড়ি দিয়ে কম সময়ে সে পরিমাণ যাত্রীকে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানো কষ্টদায়ক। ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, যানজটমুক্ত এবং সড়ক পথে চাঁদাবাজিমুক্ত রাখার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যৌথ বাহিনী এবং মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিসহ দেশের সকল জায়গায় যৌথসভা করা হয়েছে। আমরা ঢাকাস্থ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের যাত্রাপথে সার্বিক সহযোগিতায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের নিকট সবিনয়ে আহ্বান জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
মুখটা একটু খারাপ করা উচিৎ। তেলের দাম কমেছে তিন বার, গাড়ি ভাড়া কমেনি একবারও। আর শালা কয় কি?
হায়রে রাজনীতিবিদরা, তোমাদের কি এটা মনে আছে? ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। তাহলে চান্দা কীভাবে দেবে?