দেশ বিদেশ
অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় পিটিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
৭ আগস্ট ২০২২, রবিবারঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় নাইট গার্ড আলমগীর (৪০) হত্যা মামলায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। খিলক্ষেত এলাকার ফ্লাইওভারের নিচ থেকে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মোয়াজ্জেম ও মো. রুবেল। ডিবি বলছে, অনৈতিক কাজে বাধা ও মারধরের প্রতিশোধ নিতে আলমগীরকে হত্যা করা হয়। ডিবি’র গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম জানিয়েছে, আলমগীর চাকরি করতেন সততা স্মার্ট একটি সিকিউরিটি কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে। তিনি রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনের গাছপালা ও এলইডি বাতি পাহারা দিতেন। একই এলাকার রেললাইনের পাশের জঙ্গলে গ্রেপ্তার আসামিরা ফুলমালা ও জোৎস্না নামের দুই নারীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতো। দায়িত্ব পালন করার সময় আলমগীর এসব দৃশ্য দেখে মোয়াজ্জেম ও রুবেলকে বাধা দিতেন। এ জন্য তারা দুজন ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরকে প্রায়ই মারধর করতো। ঘটনার ৮ থেকে ১০ দিন আগে মোয়াজ্জেমকেও আলমগীর মারধর করে। পরে তারা দুজন মিলে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার রাতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাস্তার পাশে যাত্রী ছাউনির নিচে আলমগীর দায়িত্ব পালন করার সময় ঘুমিয়ে পড়েন। আর এই সুযোগে রাত তিনটার দিকে মোয়াজ্জেম ও রুবেল কাঠের ডাসা দিয়ে মাথায়, মুখে ও পিঠে উপর্যুপরি মারাত্মকভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার মাথা দিয়ে যখন প্রচুর রক্ত ঝরে তখন তারা বুঝতে পারে আলমগীর মারা গেছে। পরে মোয়াজ্জেমের হাতে থাকা কাঠের ডাসা যাত্রী ছাউনির পেছনে ফেলে দিয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ডিবি’র ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হক মানবজমিনকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা খিলক্ষেত এলাকার লা- মেরেডিয়ান হোটেলের আশেপাশে ও খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের নিচে গাঁজা সেবন এবং বিক্রি করে। যে দুই নারীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতো তারা আসামিদের প্রকৃত স্ত্রী নয়। তিনি বলেন, আলমগীর হত্যার পর ২৯শে জুলাই তার ভাই হামিদ বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত ছিল। পরে এই মামলার তদন্ত শুরু করি। ওই দুই আসামির সম্পৃক্ততা খুঁজে পাই।