বিশ্বজমিন
বিশ্ব বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৬ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৮ অপরাহ্ন

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। এক পর্যায়ে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম উঠে যায় ১৩৯ ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের সুখবর রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমছে জ্বালানি তেলের দাম। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৯০ ডলারেরও নিচে নেমে এসেছে।
অয়েল প্রাইস ডটকম বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলই এখন ১০০ ডলারের কমে বিক্রি হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৮৮ ডলার ৪৩ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৯৩ ডলার ৯৫ সেন্টে।
ব্লুমবার্গের বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর এবারই সবথেকে দ্রুত তেলের দাম কমছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড লকডাউনের কারণে তেলের চাহিদা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ফলে গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসছে জ্বালানি তেলের দাম। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম এক সপ্তাহেই কমেছে ১০ শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরে তেলের দাম বেশি থাকায় বিপাকে পড়েছিল আমদানিকারক দেশগুলো। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অর্থনীতিতেও ব্যাপক চাপ পড়ে। উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলোর ফরেন কারেন্সির রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে আসে তেল আমদানি করতে গিয়ে। এর প্রভাব পড়ে অন্য পণ্যের মূল্যেও। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির পারদ ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে যায়। জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ।
যদিও তেলের দামের এতো বড় পতনেও খুশি নয় বাইডেন প্রশাসন। তারা আরও বড় পতনের আশা করছে। হোয়াইট হাউসের বৈশ্বিক জ্বালানি সুরক্ষা বিষয়কসিনিয়র উপদেষ্টা আমোস হোচস্টেইন ব্লুমবার্গকে জানান, তেলের দাম আরও কমা উচিৎ। কেননা, ওপেক ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে।
বেশ কিছুদিন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে ১১০ থেকে ১১৫ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছিল। মাস দুয়েক আগে দুই ধরনের তেলের দামই বেড়ে প্রতি ব্যারেল প্রায় ১২৫ ডলারে উঠেছিল। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অল্প অল্প করে কমছিল। এবার সেটি প্রায় যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
পাঠকের মতামত
মেগা প্রজেক্ট এর নামে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই হয়নি । ৭২-৭৫ ও এই দল কম্বল লুটপাট করেছিল ।
অর্থনৈতিক ভাবে মানুষকে দূর্বল করতে পারলে কেউ প্রতিবাদ করতে যাবে না. তাই হচ্ছে
Bangladesh Govt. Is now in denial mood. Ask finance minister. He will say there is no financial crisis. It is global crisis. Even the dollar exchange rate is 120 taka and it could be 150 taka
আমাদের হালাত শ্রীলঙ্কার মতো হবে মনে হয়?
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম হ্রাস পায়। কিন্তু আমাদের দেশে বৃদ্ধি পায়। আমাদের দেশ কি বিশ্ব থেকে আলাদা???
ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্র ও সংকটের প্রধান কারণ ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের অনুপস্থিতি, অন্যগুলো ছোটখাটো সমস্যা মাত্র
যখন মাথাপিছু আয় বাংলাদেশে ৫০,০০০+ টাকা মাসিক হিসাবে, তখন ডিজেল লিটার ৫০০ টাকা হলেও সমস্যা হবেনা বরং বাংলাদেশ একটি ধনী দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে
বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য যখন কমল তখন আমাদের এখানে বাড়ল।ধিকৃত শাসকের বোদ্যদয় কবে হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন মধ্যে রাতে হয় তেলের দাম মধ্যরাতে বাড়ল
পৃথিবীতে নির্বোধ জাতি একটাই আছে৷ এরা নির্যাতন কে সহ্য করে নেয়৷ বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যখন কমছে এদেশে তখন বাড়ানো হচ্ছে৷ সব কিছুর দাম বাড়ির জনগনকে নিঃশেষ করে মারছে৷ দেশটা শ্রিলংকা হবে না কারন আমাদের ১কোটি রেমিট্যান্স যোদ্ধা আছে৷ তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতির কারণে মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারগুলো তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাব৷ জনগণকে বাঁচতে চাইলে ধুকে ধকে না মরে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে৷ আার তা যদি না পার ঘরে বসে বসে মরতে হবে৷
এটা নিশ্চয় জামাত-বিএনবি’র কাজ.....
আমি একজন সাধারণ নাগরিক, আমার আবেদন সত নিতিবান সরকার ক্ষমতায় আসোক, বেশি অপচয়ের কারণে আজ বাংলাদেশের অবস্থা, সরকারি আমলাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের করুন অবস্থা
"বিশ্ব বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম" আমি বিশ্বাস করিনা। এটা নিশ্চই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত বিএনপি'র ষড়যন্ত্র !! তারা জননেত্রীকে হেও করতেই এমন বিশ্ব মিডিয়া কূ করেছে......... (-_-)......... বয়ানেঃ ওবায়দুল কাগু !!
বাংলাদেশে পড়েছে ডাকাতের কবলে। বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলে বলা হয় বিশ্ব বাজারে সয়াবিনের দাম বেড়েছে তাই সমন্বয় করে দাম বাড়ানো উচিত এবং অনতিবিলম্বে দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন জ্বালানির তেলের দাম বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে কমে গেছে আর বলা হয়েছে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হয়েছে। ডাকাতে কবলে পড়েছে দেশ- ডাকাতের কবলে। হাতে ধরে সোনার দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানানোর আয়োজন চলছে। মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রাতের অমানিশা উপেক্ষা করে মানুষ বেরিয়ে পড়েছে, বিক্ষোভ করেছে। 'এবার ফিরাও মোরে' কবিতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, 'মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে, / যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা চেয়ে, / যখনি জাগিবে তুমি তখনি সে পলাইবে ধেয়ে; / যখনি দাঁড়াবে তুমি সম্মুখে তাহার, তখনি সে / পথকুক্কুরের মতো সংকোচে সত্রাসে যাবে মিশে; / দেবতা বিমুখ তারে, কেহ নাহি সহায় তাহার, / মুখে করে আস্ফালন, জানে সে হীনতা আপনার মনে মনে।’ আরেক বার, 'যখনি জাগিবে তুমি তখনি সে পালাইবে ধেয়ে'। আর কতোকাল সইবিরে বাঙালি। গত বছরের নভেম্বরে যখন হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো তখন সকল যানবাহনের মালিকেরা গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়। মানুষ চরম আকারে ভোগান্তির শিকার হয়। এরপর সরকার গণপরিবহনের ভাড়া জ্বালানির দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাড়িয়ে দেয়। পরম তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে মালিকেরা রাস্তায় গাড়ি চালানো শুরু করে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে গণপরিবহনের মালিকেরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। তাই তাঁদের আবদার অন্যায্য হলেও তাঁদের সুবিধা করে দিতে জনগণের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আবারো সেই একই নাটক চলছে। মালিকেরা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার তাঁদেরকে নিয়ে মিটিং করে আগের মতো অন্যায্য আবদার পূরণ করে দেবে। গণপরিবহন সহ সকল প্রকার জিনিসপত্রের ব্যবসায়ী, ঠিকাদার সকলেই সরকারের ঘনিষ্ঠজন। শোনা গেছে তাঁরাই সিন্ডিকেট করে ডলারের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা কামাই করে নিয়েছে। সরকার তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। আর জনগণের পকেট কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। মানুষ আর বেশি দিন ধৈর্য সহ্যের চাপ মেনে নিতে পারবেনা বলে মনে হয়। তাই রাতেও ঘর ছেড়ে মিছিলের আয়োজন । সেই কবি গুরুর কথা: 'যখনি জাগিবে তুমি তখনি সে পালাইবে ধেয়ে'।
ধোঁকাবাজি
অসুভ শক্তরা নাকি রাতে বের হয়, তারা দিনের আলোতে ভয় পায়। নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু এখন অসুভ শক্তির নিয়ন্ত্রণে।
So what? Ha Za Ba Ra La every where?
গিয়াস উদ্দিন । সুন্দর প্রশ্ন করেছেন । এই পৃথিবী নামক গ্রহের উল্টো রাজার দেশে আছেন যদি প্রবাসী না হয়ে থাকেন । উন্নয়ন প্রকল্প দেশকে দেউলিয়া না করলেও সরকারি উল্টো সিদ্ধান্ত দেশবাসী কে দেউলিয়া করতে বিলম্ব হবে না ।
আমি বাংলাদেশে থাকি না । প্রবাসী । বাংলাদেশে কি কমেছে না বেড়েছে । আমার মনে হয় বেড়েছে । পেট্রল পাম্প নিয়ে খবর দেখলাম । কানাডায় কমেছে অনেক আগে থেকেই । তবে যখন বিশ্ব বাজারে দাম বেশি ছিল এখানে ও বেড়েছিল ।
আমাদের সরকার কি দাম কমার খবর শুনে ভুল করে বাড়িয়ে দিলো কিনা :) সরকারের সব কাজ মাঝরাতে হয় ভোট আর দাম বাড়ানো দুটোই।
আমরা কোন গ্রহে আছি
বিশ্ব বাজারে কমলে কি হবে? ক্ষমতাসীন দের তো লুন্ঠন করতে হবে,সাধারন কিছু মানুষ কষ্ট পাক তাতে কার কি আসে যায়। ক্ষমতা সেটা তো আজীবন এর জন্য ম্যানেজ হয়ে গেছে।
আমরা কেমনে বেঁচে থাকবো ? সংসার চালানো অসম্ভব ব্যাপার ।
আমাদের দেশের রাতে ভোটে, নির্বাচিত রা রাতে তেলের দাম বাড়ায়।
সরকারের ধোঁকাবাজি ও বাটপারি অর্থনীতির কারণে দেশের মানুষ আজ বড় কষ্টে আছে! একদিকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে আর অন্যদিকে এই গণধিকৃত সরকার তেলগ্যাস সহ যাবতীয় সেবা খাতের মূল্য বাড়িয়ে চলেছে!
আওয়ামী লীগ সরকারের অতীত উল্লম্ফন এবং আত্মতৃপ্তি হাল আমলে এসে কতটা বুমেরাং হয়েছে তা তারা না বুঝলেও জনগণ কিন্তু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়নের নামে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের রাশ টেনে ধরার ব্যর্থতার কারণে অর্থনীতি যে সঙ্কটের মধ্যে পড়বে তা কিন্তু দেশী-বিদেশী অর্থনীতিবিদরা সেই ২০১২ সাল থেকে ক্রমাগত বলে আসছিলেন।