ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবারmzamin

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত নভেম্বরে। এক মাসে এক লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই লেনদেন ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আলোচ্য মাসে প্রতিদিন ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রভাবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কম হলেও সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নভেম্বরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আর নভেম্বর মাসে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক পাঁচ হাজার ২২৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এ মাসে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো এই লেনদেনের মাধ্যমে। কারণ এর আগে ২০২৪ সালের মার্চে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। 

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ও তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল আর্থিক সেবা। শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেয়া হচ্ছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ মাধ্যমটি। 

দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদসহ ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ১২ হাজার ৫১৫ জন। কিন্তু এক মাস আগেও নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৫৭ লাখ। অর্থাৎ এক মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন করে ১৬ লাখ গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে এই গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার। নভেম্বর মাসে ক্যাশ ইন হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৫০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া নভেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হয়েছে দুই হাজার ৮৪১ কোটি টাকা, বেতন ভাতা দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, মার্চেন্ট পেমেন্ট বা পণ্য কেনাকাটায় ৭ হাজার ৭৭৫ কোটি ও রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকার।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১শে মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্যদিয়ে দেশে এমএফএস যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বেশির ভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান। 

লেনদেন ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status