ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ রজব ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

দ. কোরিয়া পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উ. কোরিয়া

মানবজমিন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ৬ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৫:৪২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

mzamin

দুই মাসের মধ্যে প্রথম মাঝারি পাল্লার কোনো মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব দিকে অবস্থিত সাগরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। সাগরে পড়ার আগে মিসাইলটি প্রায় ১১০০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করে। এ তথ্য নিশ্চিত করে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এর আগে নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন সর্বশেষ মিসাইল উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। ৭টি স্বল্প পাল্লার মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয় ওই দিন। ইতিমধ্যে, টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আগামী ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে দক্ষিণ কোরিয়াতে এটি তার শেষ সফর। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া জোটের বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটি সফরে যান তিনি। এদিকে তার দক্ষিণ কোরিয়া সফরকে কেন্দ্র করে মিসাইল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই স্যাং-মোকের সাথে সাক্ষাৎ করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তিনি ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যকার জোটের বিষয়ে আলোচনা করেন। ওয়াশিংটন ও কোরিয়ার মধ্যকার জোট’কে কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে মন্তব্য করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে যদি উত্তর কোরিয়া কোনো মিসাইল পরীক্ষা চালায় সে ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বশেষ মিসাইল উৎক্ষেপণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাথে তথ্য শেয়ার করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই তিনটি দেশ একত্রে জোট হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে। সামরিক আইন জারি’কে কেন্দ্র করে অভিশংসনের মুখে পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। যদিও সাধারণ জনতা ও বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতায় ৬ ঘণ্টা পরে সামরিক আইন তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু এরপরই তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনে বিরোধী দলীয় নেতারা। প্রথম দফায় তার দলের সদস্যরা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে  অভিশংসনের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। ১৪ই ডিসেম্বর পুনরায় তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলা হয় পার্লামেন্টে। এ পর্যায়ে পার্লামেন্ট সেই প্রস্তাব পাস করে। ফলে বর্তমানে অভিশংসন প্রস্তাবটি সাংবিধানিক আদালতে রয়েছে। তারা এ বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করছে। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় গতকাল সোমবার। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা দল তাকে গ্রেপ্তারে বাধা সৃষ্টি করে। পিয়ংইয়ং অবশ্য ইয়োলের সামরিক আইন জারি’কে পাগলামি বলে উপহাস করেছে। তাছাড়া নিজের জনগণের ওপর ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করার অভিযোগ এনেছে। যদিও আন্তর্জাতিক মহল কিম জং উন’তে স্বৈরশাসক হিসেবেই বিবেচনা করেন। 
 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status