বিশ্বজমিন
উত্তেজনার মধ্যেই ন্যান্সি পেলোসির সফর শুরু
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই রোববার এশিয়ার চারটি দেশ সফর শুরু করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বেশ কিছুদিন ধরে এই সফরে তার তাইওয়ান সফরে যাওয়ার কথা বলা হলেও, সফর শুরুর আগে তাইওয়ানের বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পরিষ্কার হওয়া যাচ্ছে না, তিনি এই সফরে তাইওয়ান যাবেন কিনা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলেছেন। তারও আগে চীন সাফ জানিয়ে দেয়, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। ওদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবহনকারী জাহাজ ইউএসএস রোন্যাল্ড রিগ্যান।
চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড। একে চীনের সঙ্গে একীভূত করতে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করবে তারা। এমন অবস্থায় প্রয়োজনে তাইওয়ানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে যাওয়ার খবরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
কিন্তু সফরে যাওয়ার সময় তার অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কংগ্রেশনাল একটি প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এ সময়ে তিনি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরে যাবেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল লাইনে ৩ নম্বরে থাকা ন্যান্সি পেলোসি এই সফরে তাইওয়ান যাবেন কিনা তার উল্লেখ নেই। এই সফরে দৃষ্টি দেয়া হবে পারস্পরিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সুশাসন। মিস পেলোসির সঙ্গে প্রতিনিধিদের সঙ্গে আছেন হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ার গ্রেগরি মিকস।
তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তার সফরকে চীন দেখে বাঁকা চোখে। তারা মনে করে এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানে স্বাধীনতাপন্থি শিবিরকে উৎসাহিত করা হবে। ওদিকে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ওয়াশিংটনের। কিন্তু আইনের অধীনে তারা এই দ্বীপরাষ্ট্রকে তাদের আত্মরক্ষায় সহায়তা করতে বাধ্য। তাই তাইওয়ানে পেলোসি যদি সফরে যান তাহলে তা হবে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাটকীয় সমর্থন। সর্বশেষ এই দ্বীপরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে সফর করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নিউট গিংরিচ।
বৃহস্পতিবার জো বাইডেনকে ফোনকলে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, এক-চীন নীতিকে মেনে চলা উচিত ওয়াশিংটনের। যারা আগুন নিয়ে খেলবে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে । জবাবে জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।