অর্থ-বাণিজ্য
আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না সরকার: উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। তবে দুর্নীতি বন্ধ করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানো হবে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের এ কৌশলে আইএমএফও সম্মত বলে জানান তিনি।
এদিকে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি ৫ই ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ই ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।
চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩রা ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসে। মিশন শেষে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।
ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। আর্থিকখাতের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।
জানা যায়, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে ১৮ই ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাতির লক্ষ্য ছিল ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার।