বিশ্বজমিন
বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনায় আলোচনার আহ্বান মমতার, শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে দিলেন ব্যাখ্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:১১ অপরাহ্ন
ভারত-বাংলাদেশের চলমান উত্তেজনা নিরসনে কার্যত আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য তিনি অস্থিরতা কাটিয়ে সুস্থির পরিস্থিতি প্রত্যাশা করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে তার রাজ্যের। ফলে বাংলাদেশে অব্যাহত রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা থেকে শুধু তার রাজ্যই ঝুঁকিতে এমন নয়। নিউজ১৮ বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার মমতা বলেন- বাংলাদেশের আঁচ যদি কেউ এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) এনে আগুন লাগায়, তাহলে বিহারও বাদ যাবে না। কারণ, আমরা পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের বর্ডার সবারই এক। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি যে উত্তেজনা চলছে তা নিয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন মমতা। এর আগে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তারও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে তিনি নিজেদেরকে দৃশ্যত আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। খোলা রাখার আহ্বান জানান যোগাযোগের মাধ্যম।
সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সমস্যা নিজেরা-নিজেরা বসে দেখে নিন। এ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ফোরাম আছে। কিন্তু নেগোশিয়েশন বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয় অস্থিরতা কাটিয়ে একটা সুস্থির পরিস্থিতির মধ্যে আসুক। এটা আমার এক নম্বর পয়েন্ট।
দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো- (ভারতের) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পার্লামেন্ট অধিবেশনে স্টেটমেন্ট দিতে হবে। ব্যাখ্যা করতে হবে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি। এটা করতে হবে আমাদের সকলের জানার জন্য। বাংলার জানার জন্য। আগে নিয়ম ছিল পার্লামেন্ট চলাকালে যদি কোথাও কোনো ঘটনা ঘটতো, এমনকি প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশেও (যদি) যেতেন- তারা এসে পার্লামেন্টে একটা স্টেটমেন্ট দিতেন। (অথচ) এতদিন ধরে পার্লামেন্ট চলছে আমরা এটার ওপর কোনো স্টেটমেন্ট দিতে দেখলাম না। বিস্তারিত জানানো উচিত ছিল। তাহলে আমরা (বিষয়টি বিস্তারিত) জানতে পারতাম।
মমতা বলেন- তৃতীয়ত, আমি কেন শান্তিরক্ষীর কথা বলেছি। আমি বলেছি এই কারণে যে, যখনই কোনো দেশে কোনো অস্থিরতা হয় বা শান্তি বিঘ্নিত হয়, তখন জাতিসংঘের নিজস্ব একটা শান্তিরক্ষী বাহিনী থাকে, যে ফোর্সে থাকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোক। তাদের বলা হয় শান্তিরক্ষী বাহিনী। শ্রীলংকাতেও যখন গণ্ডগোল হয়েছিল, তখন শান্তিরক্ষী বাহিনী এসেছে। কাজেই ভারতের সঙ্গে একান্তই যদি (বাংলাদেশের) সম্পর্কের খুব অবনতি হয়ে থাকে, তাহলে ভারত সেক্ষেত্রে জাতিসংঘকে বলতে পারে যে- তোমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাও। অন্তত মানুষ যাতে নিরাপত্তা পায়। সেটা দেখা উচিত। কারণ আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে- সব বাংলাদেশি ওপার বাংলার, তা নয়। একীভূত ভারতে ইন্ডিয়া একটাই ছিল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত- একটাই ছিল। দেশভাগের পর বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। ভারতবর্ষ আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। কিন্তু আপনারাতো জানেন, অনেক বাবা আছেন, তার বাড়ি ওখানে। আবার বিয়ে করেছেন এখানে। অনেক ছেলেরা আছে- ওখানে ছেলে থাকে, এখানে মেয়ে থাকে- তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এগুলো একটা বড় সমস্যা। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান থেকে শুরু করে সবকিছু। কিন্তু মনে রাখবেন, যেহেতু বাংলাদেশের ভাষাটা আর আমাদের ভাষাটা এক। সংস্কৃতি এক এবং ওখানে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যারা ব্যবসা করেন- এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা। আবার ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা। অবশ্যই ভূরাজনৈতিক সীমারেখা আছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়ের কোনো বাউন্ডারি নেই। আমাদের মনটা কিন্তু একেবারে খোলা এবং উন্মুক্ত। আমরা সবাই-সবাইকে খুব ভালোবাসি। কাজেই আমি চাই যে, আমাদের রাজনৈতিক মতামত যা-ই থাকুক না কেন রাজনৈতিক প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা- যার প্রতি যা-ই থাকুক না কেন, অন্তত বাংলাদেশও ভালো থাক। ভারতও ভালো থাক। আমাদের বর্ডার আছে নেপালের সঙ্গে। নেপালও ভালো থাক। নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এমনকি বাংলাদেশের পাশে আছে মিয়ানমার। বেঙ্গলটা হলো উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় গেটওয়ে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে। বাংলা হচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়ির সীমান্ত।
প্রশ্নকর্তা জানতে চান- শ্রীলংকার সঙ্গে ভারতের মিত্রতা কমে গেছে, নেপাল হাত থেকে বেরিয়ে গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার পড়শি, ভুটানও। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র নীতিতে কোনো সমস্যা দেখছেন কিনা? তার এ প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, আমার মনে অনেক কথা থাকলেও এটা পাবলিকলি বলবো না। কারণ, আমার দেশ- আমারই দেশ।
দিদির যে বাংলােশের মানুষের প্রতি কি দরদ সেটাতো তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির প্রশ্ন আসলেই দে খা যায়। এসব মায়াকান্না দেখিয়ে লাভ নাই।
এখন যে ভাবে চললে এটাই ভাল বেশি পিরিতি ভাল না। বাংলাদেশের সব অশান্তির মুলে ভারত, ভারতের বন্ধু বাংলাদেশ নয় বন্ধু হচ্ছে হাসিনা তাই আমরা হাসিনা কে দিয়ে দিলাম আপনারা হাসিনা কে নিয়ে ভাল থাকেন। আমরা ভাল আছি ভাল থাকতে দেন।
দিদি, আসুন সাম্প্রদায়িকতা বাদ দিয়ে জার্মানির মত এক হয়ে মিশে যাই ।
মণিপুর,কশ্মীর,ও মহারাস্ট্রে কেনো নয়
পাগলের প্রলাপ।
আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আছে তাহলে আমাদের কেন শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার একবার বলুন তো বাংলাদেশ
মণিপুর,কশ্মীর,ও মহারাস্ট্রে কেনো নয় জাতিসংঘ শান্তি রখ্খী াহিনী।
ভারত কখনো আমাদের বন্ধু হবে না।
মমতাজি, দুই দেশের লোকের প্রতি আপনার এতই যদি মায়া থাকে, তাহলে তার কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে, এপারের ভাইদেরকে ওপারের বোনদের থেকে, কিংবা এপারের বোনদেরকে ওপারের ভাইদের ধেকে আলাদা করে দিলেন কেন?
দিদি আগে সত্যি টা জানুন তার পর বিবৃতি দিন।কারণ এ বাংলার মানুষ আপনাকে অনেক দায়িত্বশীল মনে করে।
দিদি আপনার কাছে অনুরোধ সর্বাগে শান্তি বাহিনী কোথায় , কি ভাবে মোতায়েন হয়,কাজ কি এগুলো আগে জানেন তার পর আপনি কথা বলুন।আর মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ এবং এখানে সাম্প্রদায়িকতার৷ কোন স্হান। আর পশ্চিম বঙ্গ একটা প্রোভিন্স এবং আপনার ঘর সামলান, বিজেপি সামলান।
ছাত্র আন্দোলনে মমতা যখন সাপোর্ট দিয়েছেন তখন তাকে খুব আপন মনে হয়েছিলো। জানি না সত্যি টা যাচাই না করে হঠাৎ তিনি এমন কথা কেন বললেন। আশা করি ঔনি সঠিকটা বুঝবেন
সারাদিন সন্দেহ আর সন্দেহ। কোন যাচাই-বাছাই নেই। চায়ে চিনি দিল না লবন দিল দেখার সময় নেই। ভালোই চালিয়ে যাও। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা অশান্তি লেগেই থাকবে। এদেশে কোন হিন্দু মুসলিম ক্রাইসিস নেই। অযথা এগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া। এত ফালতু বিষয়। ভাবছিলাম শীত আইলো কলকাতা যামু। কি থেকে কি হইল। সহজভাবে নিন সন্দেহ করবেন না।
বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) CM মমতার বক্তব্য রাবিশ ও তাদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য....!! **যেখানে বাংলাদেশের কোথাও হিন্দু নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটেইনি বা ঘটার সম্ভাবনাও নাই, সেখানে তাদের মিথ্যা অভিযোগ কে স্বীকৃতি দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না----।।
দিদি জুনিয়র চিকিৎসকরা সত্যিই আসতেছে!
মুখে যা আসে তাই বলবেন না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে কথা বলবেন, এটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, আমরা এ রাষ্ট্রকে খুবই ভালোবাসি, দেশের বিপদে ২০ কোটি মানুষ এক অস্ত্র হয়ে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
যেদিন ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ বন্ধ হবে সেদিন থেকে পুরো উপমহাদেশে শান্তি ফিরে আসবে।আর বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের অন্যতম শর্ত হলো অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ফেরত দেয়া।
বাংলা , বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িস্বা এটা আমাদেই অংশ।
ভন্ড কোথাকার। একই যুক্তিতে ইন্ডিয়াতেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে বলা উচিত।
এই মহিলা দেখছি আন্তর্জাতিক রীতিনীতি কিছুই জানেনা। তোমার দেশের কাশ্মীর, গুজরাট, মনিপুরে শান্তি রক্ষী বাহিনী আগে নিয়োজিত কর। ভুলে যেও না, পশ্চিমবঙ্গ একটি রাজ্য আর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ।
ব্যাবসা বন্ধ হয়ে গেছে, তাই সুর পাল্টাইছে।আপনার মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চান।
আপনার মন্তব্যে বাংলাদেশীরা অখুশি। অথচ বাংলা আর বাংগালীর প্রশ্নে এদেশের অনেকে আপনাকে যথার্থ মনে করতেন। একটু তলিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন যে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে কিরকম মিথ্যাচার হচ্ছে। কোন কোন ভারতের মন্দিরে ভেংগে থাকা মুর্তির ছবি তুলে বাংলাদেশের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এ কেমন দেশ যেখানে সত্যের লেশমাত্র নে, দিনে দুপুরে পুকুর চুরি।
মমতা - আমি যে আর্ন্তজাতিক রাজনীতি বুঝি না, এটাও আমি বুঝিনা
উনি জানেনই না কখন বা কোনটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করার প্রেক্ষাপট।
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ব্যাপারে কথা বলার আগে ভাবা উচিত যে এটি আপনাদের অঙ্গরাজ্য নহে।
মমতা দিদির স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে, নিজের দেশের শান্তি বজায় রাখতে কী করবেন সেটা করেন।
মমতাকে বলবো ভাষা এক সংস্কৃতি এক তাই ভিন্ন দেশে ভিন্ন সংস্কৃতি্তে বাঙ্গলাকে মানায় না ! তাই অর্ধেক নিয়ে ছলে আসুন আমরা এক দেশ হয়ে যাই। বাঙ্গালী দের কে হিন্দুস্থানে মানাচ্ছে না। বন্যেরা বনে সুন্দর বাঙ্গালী বাংলাদেশে !!!
একটা স্বাধীন দেশের বিষয়ে অন্য দেশের একটা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী যখন বলেন শান্তী বাহিনীর কথা তখন তার যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
ভারতকে স্বার্থ উদ্ধার করতে হলে দাদাগিরি বাদ দিয়ে সহযোগী হতে হবে। ন্যায্যতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতেও দক্ষিণ এশিয়া শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
মমতা কোন ক্যাটাগরির মানুষ সেটা সবাই জানে
মমতা ব্যানার্জীকে সুস্পষ্ট করেই বলি ব্যাপারটা এপার বাংলা ওপার বাংলা নয়। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বার্বভৌম সতন্ত্র একটি পূ্র্ণাংগ দেশ। আর আপনার পশ্চিমবংগ সাম্রাজ্যবাদী ভারত তথা দিল্লির অধীন সামান্য একটা অংগ রাজ্য মাত্র। নিজেদের স্বাধীনতা স্বকীয়তা নিরবে একবার ভেবে দেখুন।
সম্পর্কে উন্নয়নে ভারতের উচিৎ হবে আওয়ামী লীগ ও হাসিনার বলয় থেকে বেরিয়ে আসা!! সম্পর্কে হতে হবে প্রতিবেশী সুলভ, দেশের সাথে দেশের, জনগনের সাথে জনগনের..
দিল্লির গোলামি ছাড়ুন।দুই বাংলা এক হউন