বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের শপথকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগেভাগে ফেরার পরামর্শ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
আগামী ২০শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন প্রথম দিনেই তিনি অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর ফলে অন্য রকম এক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময়েই বিপুল পরিমাণ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার মধ্যে অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থী থাকতে পারেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ২০শে জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে তাদের আন্তর্জাতিক বা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, স্টাফদেরকেও এর অধীনে ২০ জানুয়ারির আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়া ও তার অভিবাসন বিরোধী অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে শীর্ষ স্থানীয় বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ওই নির্দেশ জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন তার মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকই (৫৪ ভাগ) হলোন ভারতীয় ও চীনা। এ তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩/২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক বা বিদেশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে। আগের বছরের তুলনায় সেখানে ভারতীয় শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২৩ ভাগ। এর মধ্য দিয়ে তারা চীনকে অতিক্রম করে গেছে। এ তথ্য ওপেন ডোর ২০২৪ রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সচেঞ্জের। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। তাদের শিক্ষার্থী এ সময়ে কমেছে শতকরা ৪ ভাগ। তবু তাদের সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৮। তারা আন্ডারগ্রাজুয়েট ও নন-ডিগ্রি শিক্ষার্থী পাঠানোর দিক থেকে শীর্ষস্থানীয়। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা ৮৭,৫৫১ ও ৫৫১৭। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে এক পোস্টে ম্যাচাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অফিসের এসোসিয়েট ডিন ও ডিরেক্টর ডেভিড এলওয়েল বলেন, যখনই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন হয়, তখনই নীতি, রেজ্যুলেশন এবং লেজিসলেশনে পরিবর্তন দেখা দেয়। তার প্রভাব পড়ে শিক্ষায়- অভিবাসন ও ভিসা মর্যাদার ক্ষেত্রে। এ জন্য তিনি এই শীতে আগে থেকে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ট্রাম্পের অধীনে ভ্রমণ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ক নির্বাহী আদেশের উল্লেখ করেন। শুধু তা-ই নয়, এতে সমস্যায় পড়তে পারে বিভিন্ন দূতাবাসও। কারণ, সেসব স্থানে নানা পর্যায়ের বিদেশি কর্মী কর্মরত। ইউনিভার্সিটি অব ম্যাচাচুসেটসের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক অফিসের এডভাইজরিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়- বিশেষ করে সব বিদেশি শিক্ষার্থী, পণ্ডিতজন, ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ সদস্যরা যারা অভিবাসন স্পন্সরশিপে রয়েছেন তারা যেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেরার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করেন।
অসুখ লোক এই ট্রাম্প। আওয়ামী লীগের লোক এবার বুঝবে, যখন ওদেশ থেকে দেশে ফেরত পাঠাবে।
যত গর্জে তত বর্ষে না।