বিশ্বজমিন
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ মাস আগে) ১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

পার্লামেন্টের ভোটে জয়ী হয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা শিগেরু ইশিবা। পার্লামেন্টে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও সোমবার পার্লামেন্ট মেম্বারদের ভোটে নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের ক্ষমতায় থাকা এই দলটির প্রতি জনগণের অনাস্থার কারণে গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফুমিও কিশিদা। তার স্থলাভিষিক্ত হন ৬৭ বছর বয়সী ইশিবা। সিমাহীন দুর্নীতি এবং বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগে এলডিপি’র জনপ্রিয়তা যখন তলানিতে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ইশিবা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, সোমবার পার্লামেন্টারি অধিবেশনের আগে ইশিবা তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে বিরোধী নেতা ইয়োশিহিকো নোদার বিরুদ্ধে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ইশিবা। দলের মধ্যে বৈরিতা, অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মজবুত করতে জাপানের এই প্রধানমন্ত্রীকে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। কেননা সংসদে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে এলডিপি। ফলত তিনি এখন একটি ঝুলন্ত সংসদে তার দলের নেতৃত্ব দেবেন। সংসদ ঝুলন্ত হলে সেখানে কার্যত রাজনৈতিক অচলাবস্থার শঙ্কা থাকে। ভবিষ্যতে সংসদে কোনো আইন বা বিল পাস করতে ইশিবাকে বিরোধী দলগুলোর বিরোধীতার তোপে পড়তে হতে পারে। কার্যত সংসদে এলডিপি’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সার্বিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ইশিবার সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলা তার জন্য বেশ কঠিন হতে পারে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইশিবা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। জাপানের দীর্ঘ সময়ের রাজনীতিবিদ কিশিদার প্রকাশ্যে সমালোচনা করে আলোচনায় এসেছিলেন ইশিবা। এতে তিনি বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেন। এবারের ভোটে যার ইতিবাচক প্রভাব ছিল। আশা করা হচ্ছে তিনি তার সাবেক মন্ত্রিদের নিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনে নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইশিবার ক্ষমতাসীন দল এলডিপি। দুই কক্ষবিশিষ্ট জাপানি পার্লামেন্টের সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ এটি। ফলে ইশিবার ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়। তবে পার্লামেন্টারি ভোটে উতরে যাওয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকছেন তিনি।