বিশ্বজমিন
ভূমিধস জয়, ১২০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
ভূমিধস জয় পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। একই সঙ্গে কমপক্ষে ১২০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড প্রথম মেয়াদের পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এর চার বছর পর নির্বাচন করে ১৮৯২ সালে তিনি জয়ী হন। সেই রেকর্ড ভেঙে ১২০ বছর পরে হোয়াইট হাউসের চাবি হাতে আসছে ট্রাম্পের। একই সঙ্গে তিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। এই জয়ের জন্য তিনি যেমন মার্কিনিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তেমনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরব-মার্কিনিদের।
ধারণা করা হয়, গাজা যুদ্ধের কারণে ডেমোক্রেটদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন মুসলিমরা। তারা এবার ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। তবে এদিন তিনি বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেননি। তার জয়ে রিপাবলিকান শিবিরে আনন্দের বন্যা। অন্যদিকে ডেমোক্রেট শিবিরে পিনপতন নিস্তব্ধতা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমালা হ্যারিসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি এখনও পরাজয় স্বীকার করে নেননি। ডেমোক্রেট দল থেকে দেয়া হয়নি কোনো বিবৃতি। জনমত জরিপ এবং বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস ধোপে টিকলো না। যেখানে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বলাবলি হচ্ছিল নির্বাচন নিয়ে ‘ডেডলক’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। খুব সামান্য ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় দুপুর নাগাদ) খবর চলে আসে ট্রাম্প জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যে ধারায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছিলেন তাতে তার ধারেকাছে দাঁড়াতেই পারছিলেন না ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টার দিকে ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার পাম বিচে কনভেনশন সেন্টারে দলীয় সমর্থক, নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন, তখন কমালা হ্যারিসের ডেমোক্রেট শিবির নিস্তব্ধ। পূর্ব পরিকল্পিত ভাষণ বাতিল করেন কমালা। নির্ধারিত ২৭০ মাইলফলক স্পর্শ করে আরো দূরে এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প। তিনি জিতেছেন ২৭৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। তার কাছে কুপোকাত হয়েছেন ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ২২৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প দুইবার দুইজন ডেমোক্রেট নারী প্রার্থীকে ধরাশায়ী করলেন। ২০১৬ সালে তার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয় ডেমোক্রেট নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আর এবার পরাজিত হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। চার বছর পরে আবার ট্রাম্পের হাতে উঠতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসের চাবি। এরই মধ্যে তিনি ফ্লোরিডার পাম বিচে দলীয় নেতাকর্মীদের কনভেনশন হলে পৌঁছে ভাষণ দিয়েছেন। এতে তিনি মার্কিনিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিজেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। দলীয় সমর্থকদের ব্যাপক করতালির মধ্য দিয়ে তিনি মঞ্চে আরোহন করেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, রানিংমেট জেডি ভ্যান্স, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, ছেলে ব্যারন ট্রাম্প প্রমুখ। প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে তা সারিয়ে তুলতে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি মেলানিয়া ট্রাম্পকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন। এ সময়ই তিনি মেলানিয়াকে ফার্স্টলেডি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ধন্যবাদ জানান।
মেলানিয়া একটি বই লিখেছেন। সেটা দেশে অন্যতম বেস্টসেলার হয়েছে বলে তার প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সে একটি মহান কাজ করেছে। জনগণকে সহায়তা করার জন্য সে কঠোর কাজ করে। নিজের সন্তানদের ‘অ্যামেজিং চিলড্রেন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। তিনি এ সময় প্রতিশ্রুতি দেন সীমান্ত সমস্যা সমাধান করার। তিনি আরও বলেন, তিনি এবং তার দল আরও একবার ইতিহাস রচনা করেছেন। এ জয়কে তিনি ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ভিক্টরি’ বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্প বলেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী যুগের সূচনা হলো। তিনি বলেন, এই বিজয় মার্কিন জনগণের। এর ফলে আমরা আবার আমেরিকাকে গ্রেট করে গড়ে তুলতে পারবো। এ সময় সমর্থকদের স্লোগানে ফেটে পড়ছিল কনভেনশন সেন্টার। তার মাঝেই ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে অপ্রত্যাশিত ও শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় পাশে থাকার জন্য এক্সের মালিক ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে তিনি রিপাবলিকান দলের ‘নতুন তারকা’ আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, প্রচারণাকালে দু’বার হত্যাচেষ্টা থেকে তিনি রক্ষা পেয়েছেন। তিনি রক্ষা পেয়েছেন একটি কারণে। ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউসে তিনি প্রতিটি কাজে উৎসাহ ও লড়াই নিয়ে আসবেন। বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সরকার চালাবেন তার ঘোষণা- ‘প্রমিজেস মেইড, প্রোমিজেস কেপ্ট’ নীতি অনুযায়ী।
লক্ষ মুসলমান মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ডেমোক্রেট। আল্লাহ এই বিচার করেছে। যদিও কেউ মুসলমানদের বন্ধু নয়। ডেমোক্রেট বন্ধু সেজে ক্ষতি করেছে।।হিলারি তো আইসিস স্রষ্ঠা
অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ,আমার বিশ্বাস ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের বিপর্যস্হ মানবতা মুক্তির লক্ষে তিনি কাজ করবেন। নির্বাচিত হবার পেছনে তিনি অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহন করবেন। মানবতা মুক্তি পাক।
আমাদের CA office gov থেকে অভিনন্দন কি জানানো হবে
ডেমোক্রেটদের হারার কারণ মোটা দাগে ৪টি: ১। ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধনজজ্ঞে ইজরায়েলকে সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান, ফলে মুসলিম ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেয়া। ২। কোভিট এবং ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনীতিতে ধস নামা ৩। রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনকে আক্রমনের ক্ষেত্র ডেমোক্রেটদের মাধ্যমে তৈরি হওয়া। এই যুদ্ধের ফলে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়ে যায়। ৪। নারী প্রেসিডেন্ট মেনে নেওয়ার মতো মানসিকতা এখনো আমেরিকার জনগণের মধ্যে তৈরি না হওয়া। নোট: ফিলিস্তিনি হাজার হাজার নারী ও শিশুদের রক্ত বহু বছর ডেমোক্রেটদের তাড়া করে বেড়াবে!
আমি ডেমোক্রেট সমর্থক। সে হিসেবে কমালা প্রেসিডেন্ট হোক তাই চেয়েছিলাম। তবে এখন খুশী ট্রাম্পের বিজয়ে! কারন জয় যোগ্য ব্যক্তিরই প্রাপ্য। পাওয়া উচিত। ট্রাম্প বিতর্কিত ব্যক্তি। তাকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা। এখন সেটা গৌণ। নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করে মার্কিনীদের ভোট ছিনিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প। সুতরাং এ কথা সে কথা বলে আর কোন লাভ নেই। এটাও আমাদের সবার জানা যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা,ধ্বংস,মৃত্যু কাটবে না বরং বাড়তে পারে। ইরানে হতে পারে ধ্বংসাত্মক হামলা। বিশ্বে আরও অনেক ভয়ঙ্কর কিছু হয়তো! তবুও এই জয় ট্রাম্পের প্রাপ্য ছিল। শেখার আছে মার্কিন মুল্লুকের গণতন্ত্র থেকে। বোঝার আছে মার্কিন ভোটারদের মনস্তত্ত্ব। তবে অত্যন্ত বোধগম্য কারনেই অভিনন্দন জানাতে পারছি না ট্রাম্পকে।
বুড়ো বন্ধু ডোলান্ড ট্রাম্প তোমাকে অমেরিকার নব-নির্বাচিত ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিনন্দন। দ্রুত ফিলিন্তিনের জনগণের ওপর বর্বচিত হামলা বন্ধ করো
কমলা হ্যারিসের ৩টি দুর্বল পয়েন্ট ছিল-১) তিনি এশিয়ান ২) তিনি নারী ৩) তিনি ব্ল্যাক (আমেরিকানদের মতে)। এই তিনটি কারনে তিনি হেরেছেন। ডেমোক্রেটদের যুদ্ধাংশী মনোভাব তাকে আরো পিছিয়ে দিয়েছে। সবকিছুর ফল ট্রাম্পের ঝুড়ি ভরে দিয়েছে।
এরা নারীকে এই পাওয়ার দিতে চাই না। তাদের ইতিহাস তাই বলে। এর আগে হিলারি অনেক জনপ্রিয় হলে জিততে পারেন নি।
ওরা নারীদের ভোগের পন্য ছাড়া কিছুই মনে করেনা, যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারীদের ভোগের ও মনোরঞ্জনের জন্যে নেয় কিন্ত আমরা আমারা চামচারা সেটাকে বৃহৎ মহান করে দেখি।
জয় হোক হতাহত মানুষের। ট্রাম্প আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। অতি তাড়াতাড়ি ট্রাম্প শেখ হাসিনা কে নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আমরা অপেক্ষায় আছি।
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তির দেশ আমেরিকা। গণতন্ত্রের রুপকার, প্রাত: প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিনকনের গণতন্ত্রের দেশ। ডোনাল্ড ট্রামকে ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা। একই সাথে তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছি তিনি যেন নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষা করেন। তিনি যেন মধ্যপ্রাচ্য সহ সকল দেশ ও জাতির সুন্দর জীবন যাপনে সহায়তা করেন। আমরা বিশ্বাস করি তিনি কলহমুক্ত একটা বিশ্ব দান করবেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। সেই সাথে আমেরিকার জনগনকে ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।বিশ্বের শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও অনেক অনেক ক্ষমতাধর। আমাদের প্রত্যাশা, শপথ গ্রহণ করেই যেন তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
মজার ব্যাপার হলো বিশ্বব্যাপী পাশ্চাত্য আমেরিকা নারীর ক্ষমতায়নে অনেক কাজ করে, তবে, তাদের দেশের ভোটাররা সুপ্রিম ক্ষমতাবান হিসেবে পুরুষ নেতৃত্ব কেই বেছে নেয়! মধ্যপ্রাচ্য ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হোক। বাচ্চারা ঘরে ফিরে যাক, পাঠে মন দিক ; সুন্দর ভোটের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতন্ত্রের যাত্রা শুরু হোক আমাদের।
অসহায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা মানুষের মাঝে কষ্ট দিয়েছে। যেদিন দেখলাম নির্বাচনী জনসভায় ট্রাম্পের কানের পাতা ভেদ করলো বুলেট সেদিন নিশ্চিত হলো ট্রাম্পের ভাগ্য।
Best of luck!
উক্রেন যুদ্ধ দুই/তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে।
,ডেমোক্র্যাটদের বুঝা উচিত ছিল আমেরিকানরা নারী প্রেসিডেন্ট অতীতেও নেয় নাই ভবিষ্যতেও নেবে না। তারা একটা পুরুষ কেন খুঁজে পেলো না এটা তাদের ব্যার্থতা। পশুদের মধ্যে একমাত্র পুরুষরাই শাসন করে।
আমেরিকার জনগন নারী প্রেসিডেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছে
যেদিন দেখলাম নির্বাচনী জনসভায় ট্রাম্পের কানের পাতা ভেদ করলো বুলেট সেদিন নিশ্চিত হলো ট্রাম্পের ভাগ্য।