ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

কমালা না ট্রাম্প, কার পক্ষ নেবে ভারত

মানবজমিন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:০৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম যেসব বিশ্বনেতা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তার মধ্যে মোদি ছিলেন অন্যতম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র রিসার্স ফেলো চেইতিগি বাজপায়ী বলেন, এবার নির্বাচনে একজন প্রার্থীর চেয়ে অন্যজনের প্রতি মোদির শক্তিশালী কোনো পছন্দ আছে বলে মনে করি না। ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রায় দ্বিপক্ষীয় ঐক্যমত আছে। ভারতকে তারা দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে। এই ঐকমতের কারণ হতে পারে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত প্রতিপক্ষ বলে মনে করে। বাজপেয়ী এ বিষয়ে একটি আর্টিক্যাল লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি মূল ভিত্তির ওপর যুক্ত রয়েছে। তা হলো,- ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র, চীনবিরোধী একটি রক্ষাকবচ হিসেবে ভারতকে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি।

ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর ভাল-মন্দ বিবেচনা করবে ভারত। যখন বিষয়টি ট্রাম্প প্রসঙ্গে আসে তখন নয়া দিল্লিতে এমন একটি সেন্স দেখা যায় যে, তিনি নির্বাচিত হলে ভারতের জন্য ভাল হবে। এর একটা কারণ হতে পারে, মানবাধিকার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবেন না ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প বিজয়ী হলে তার শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে তার কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে পারে ভারত।

বাজপেয়ী বলেন, প্রথম মেয়াদে যখন ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তিনি মোদির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্যদিকে কমালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি বর্তমান বাইডেন প্রশাসনকে অব্যাহত রাখবেন। এখানে উল্লেখ্য, বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্গ গভীর হয়েছে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক খাতে। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিত্র না হওয়া এবং ভারত রাশিয়ার সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও ভারতকে ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনারৎ বানিয়েছেন বাইডেন। ২০২২ সালের মে মাসে টোকিওতে কোয়াড সামিট বসে। এর এক ফাকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস ঘোষণা দেয়। এর উদ্দেশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বা এআই সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। কোয়ান্টাম কমিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি করা। অন্যদিকে মোদিকে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ভারতকে তিনি আমদানি শুল্কের অপব্যবহারকারী হিসেবে অভিহিত করেন। 
 

পাঠকের মতামত

ভারত ট্রাম্পের পথ চেয়ে বসে আছে। কারণ ট্রাম্প জিতলে ভারতকে তাদের ইচ্ছা মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা আর অভিযুক্ত করবে না!

হারুন রশিদ মোল্লা
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৮:৫৯ অপরাহ্ন

ট্রাম্প না আসলে তো তাদের সব প্ল্যান ই ভেস্তে যাবে।

Md.Humayun kabir
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন

এটা বাংলাদেশ না যে ভারত নাক গলাতে পারবে।আমেরিকা don't care Modi's propaganda.

Khokon
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২:৪৮ অপরাহ্ন

ট্রেম্প পাওয়ারে আসবে এই আশায় তারা বুক বেঁধে আছে ২ বছর।

চাচা
২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:২১ অপরাহ্ন

তাঁরা রাজার ও ভাই কন্যার ও ভাই, আফা(?) প্রেসিডেন্ট হলেও আপওি নাই। (১০০০% সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধা বাদী) তবে আমেরিকা, আমেরিকার মতে চলে।

no name
২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status