বিশ্বজমিন
রক্তাক্ত কাফনের কাপড় সরিয়ে মাকে দেখে মুষড়ে পড়লেন অ্যাম্বুলেন্স কর্মী
আব্দুল কাইয়ুম
(৭ মাস আগে) ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

রক্তাক্ত কাফনের কাপড় সরিয়ে দুঃসহনীয় মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হলেন ফিলিস্তিনি এক অ্যাম্বুলেন্স কর্মী। কেননা স্ট্রেচারে পড়ে থাকা কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটি যে তার মা তা তিনি জানতেন না। ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হন তার মা সামিরা বারদিনি। দেখার আগ পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো খবরই পাননি তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এতে বলা হয়, কাফনে মোড়ানো নিজের মাকে দেখে চিৎকার করে উঠেন আবেদ বারদিনি নামের এক অ্যাম্বুলেন্স কর্মী। তিনি বলেন, ওহ খোদা! শপথ করে বলছি- তিনি আমারই মা। না দেখলে কখনও জানতেই পারতাম না। এ দৃশ্য দেখে স্ট্রেচারের পাশেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই যুবক।
ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রক্তে রঞ্জিত মৃতদেহটি যখন আল-বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তার পাশেই বসেছিলেন বারদিনি। তখনও তিনি জানতেন না যে কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটি তার মায়ের লাশ।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, মাগাজি শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে তিন ব্যক্তি নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সামিরা বারদিনি। যিনি প্রথমে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারের আগেই মারা যান ৬১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ওই নারী। গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় সরাসরি বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন তিনি। হামলার সময় ওই গাড়িতে আরও দুই ব্যক্তি নিহত হন। যারা গাড়ির ভিতরেই অবস্থান করছিলেন।
ঘটনাস্থলে পাঠানো দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটিতে ছিলেন আবেদ বারদিনি। বুধবার শেষ বিকেলের সূর্যের আলোতে যখন মৃতদেহটি স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তিনি কাপড় সরিয়ে মুষড়ে পড়েন। দেখেন কাফনের ভিতরে পড়ে আছে তার মায়ের নিথর রক্তাক্ত দেহ।
পাঠকের মতামত
Alhamdulillah. Allah subhanutala help to philistine & every philistine give the heaven.
All leaders are criminals.
আমেরিকা. ইসরাইল মিলে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে গত একবছরের বেশী সময় ধরে। অথচ বিশ্ব কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা এটা মানবতার জন্য খুবই দুঃখজনক।
এই পৃথিবীটা একটা টাউট। কত মানবাধিকার সংগঠন, কত ন্যায় বিচারের আদালত পৃথিবীতে, সব ভূয়া, সব টাউট। আমেরিকা কে ধংস না করা পরযন্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সব মানবাধিকার কর্মীরা চুপ করে ঘুমিয়ে আছে। এতগুলো নিরপরাধ মানুষকে দিনের পর দিন হত্যা করে চলেছে সে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নাই।