দেশ বিদেশ
আমাদের এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নেই: বদিউল
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবারনির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের ক্ষমতা আমাদের নেই। এটা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। আমাদের সেই এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নেই। আমাদের এখতিয়ার হলো কতোকগুলো সংস্কারের সুপারিশ করা। আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো এখতিয়ার নেই।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কিছু সংস্কারের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, আর সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন দেখবে। আমরাও দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব নেবো। সংখ্যানুপাতিক ভোটের জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশনকে সিদ্ধান্ত দিতে আমরা সেভাবে প্রস্তাব করবো। তিনি বলেন, নির্বাচন একটা প্রক্রিয়া। ভোটার তালিকা থেকে শুরু হয়, এরপর মনোনয়ন বাছাই, প্রচার, ভোটগ্রহণ। এই প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এজন্য ইসিকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতীয়মান হতে হবে।
যেকোনোভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিকভাবে বাতিল করা হয়েছিল। এটা করা হয়েছে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য। এজন্য নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার, সে যে ভাবে হোক। সরকারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন নিরপেক্ষ আচরণ করে। এরপর হলো দল। দল যদি দায়িত্বশীল না হয়। তারা যদি ছলে বলে কৌশলে, টাকার খেলা করে, পেশি শক্তির ব্যবহার করে, গণমাধ্যম যদি সঠিক খবর না দেয় তাহলে সঠিক নির্বাচন ব্যাহত হয়। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনাতেই থেকে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে। টাকা দিয়ে, পেশি শক্তি দিয়ে যদি ভোটে জিততে চাই, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমনই থাকবে। তাই যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা আমাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করবো।
প্রধান মন্ত্রীর শাসন পদ্ধতির তিক্ত অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় সার্বিক অবস্থার চুলচেরা বিচার বিশ্লেষনে প্রতিয়মান হয় ভবিষ্যৎ স্বাধীন স্বার্বভৌম স্থিতিশীল বাংলাদেশের জন্য প্রেসিডেন্টশিয়াল শাসন ব্যাবস্থার কোন বিকল্প নাই।
Every elections I want to sign in a Educated person.