অর্থ-বাণিজ্য
ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে দৈনিক ১৪ কোটি টাকা লুট
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ সপ্তাহ আগে) ৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৯:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪২ অপরাহ্ন
দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, বাজারে প্রতিটি ডিমে ২ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমে ৮ কোটি টাকা বেশি লাভ করা হচ্ছে। এভাবে গত ২০ দিনে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার প্রতিটি মুরগির বাচ্চা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্ত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে একই বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৪০-৫৬ টাকায়। আর ডিমের মুরগির বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতিদিন সব ধরনের ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা বেশি ধরা হয়, প্রতিদিন ৬ কোটি টাকা বেশি আয় হয়। ফলে গত ২০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোম্পানিগুলো ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। সব মিলিয়ে ২৮০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে গত ২০ দিনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারি ডিম এবং মুরগি উৎপাদন করে, কিন্তু দাম নির্ধারণ করতে পারে না। দাম নির্ধারণ করে করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের সুবিধামতো যে দাম নির্ধারণ করে সে দামে প্রান্তিক খামারিদের ডিম, মুরগি বিক্রয় করতে হয়। যখন দাম বাড়িয়ে দেয় তখন খামারি ন্যায্য মূল্য পায়। যখন কমিয়ে দেয় তখন উৎপাদন খরচ থেকে কম দামে বিক্রয় করে লস হওয়ার কারণে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতার কারণ করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার করে। এ সিন্ডিকেট বারবার বাজারে সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিলেও তাদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করপোরেট গ্রুপ ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সিন্ডিকেট শক্তিশালী হওয়ার কারণে বারবার একই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। ফিড বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে, বিগত দিনের সিন্ডিকেটকারীদের সঙ্গে নিয়ে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় করপোরেট গ্রুপদের সিন্ডিকেট করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে পুরোনো সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এতে বাজারে অস্থিরতা হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়। যেখানে বলা হয়, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০.৫৮ টাকায় বিক্রয় করতে পারবে, যা ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রয় হওয়ার কথা। কিন্তু যাদের সঙ্গে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হলো তারা কেউ সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রয় করেননি। প্রতিটি ডিম করপোরেট উৎপাদক পর্যায়ে ১১.০১ টাকায় বিক্রয়ের কথা স্বীকার করলেও তারা প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিটি ডিম বিক্রয় করেছেন ১১.৮০ থেকে ১২.৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়।
ডিম কত করে কিনলেন আর বিক্রি করলেন দুটোর তফাতই বলে দিবে আপনি কত লাভ করেছেন। গবেষণার প্রয়োজন নাই। কাওরান বাজারের এক রেট মহল্লার দোকানে এক রেট। দুটোর তফাৎ দেখুন। কোন সন্দেহ নেই মহল্লার খুচরা দোকানদাররা অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করে। সুতরাং ভাউচার সিস্টেমটা করা একান্তই দরকার। সাথে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা। মানলে কোন কথা নেই।
দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে---তাতে কি? এখন মামলার মৌসুম(!) চলছে ঐ দিকে চোখ দেবার ফুরছত নেই !
"কোথাও কেউ নেই!" চা পান তামাক খাচ্ছি আর গল্প গুজব করছি!
এখন পর্যন্ত অন্তরবর্তি সরকারের চরম ব্যর্থতা হলো নিত্য পন্যের চড়া মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারা।নিম্ম এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকদের প্রধান চাওয়া হলো নিত্য পন্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা। বিগত আওয়ামি সরকার তার পোষ্য সিন্ডকেটের মাধ্যমে সমগ্র বাজার ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলছিল। তাদের দৌরাত্মে মানুষের পকেট শূন্য হয়েছে বটে কিন্ত উদর পুর্তি হতোনা। নিরব অনাহার অর্ধহারে দিনাতিপাত করেছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। সেই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে মানুষ এখনো মুক্তি পায়নি ক্ষেত্র বিশেষে অবস্থা আরো ভয়ানক রূপ নিয়েছে। এমতাবস্থা থেকে মুক্তিতে সরকারকে এখনি ব্যবস্থা নিতে হবে প্রয়োজনে দায়ীদের দ্রত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা জনতার দাবী।
সাধারণ মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণে প্রয়োজনে ডিম এবং মাংস বেশি করে আমদানি করা হোক।