অর্থ-বাণিজ্য
৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ আদায় করা সম্ভব: বিএবি চেয়ারম্যান
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৯:১২ অপরাহ্ন
ব্যাংকিংখাতের আইন শক্তিশালী হলে খেলাপি ঋণের ৬০ শতাংশ আদায় করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। এসব খেলাপি ঋণের বেশির ভাগই ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে আছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বিএবির এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হাই সরকার বলেন, নতুন গভর্নর হওয়ার পর বিএবির সঙ্গে এটাই আমাদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে অন্যতম হলো খেলাপি ঋণ আদায় করা। তিনি বলেন, আইনের নানা রকমের ফাঁকফোকর রয়েছে। সে কারণে খেলাপি ঋণ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে ব্যাংকিং খাতের যে খেলাপি ঋণ রয়েছে, সেটার ৬০ শতাংশ আদায় করতে সক্ষম হব। কারণ বেশির ভাগ ইচ্ছাকৃত খেলাপি। তিনি জানান, তাদের পক্ষ থেকে গভর্নরকে অনুরোধ করা হয়েছে যে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনের সঠিক নীতি প্রণয়ন করা হয়। আইনের দুর্বলতার কারণে এগুলো আদায় করা সম্ভব হয়নি। তাই গভর্নরের এসব বিষয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
বেশ কয়েকটি ব্যাংকে বর্তমানে তারল্য সংকট চলছে সে বিষয়ে গভর্নর কোন কিছু বলেছি কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাই সরকার বলেন, ৮-৯টি ব্যাংকে তারল্য সংকট থাকতে পারে। কিন্তু অন্য সকল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নেই। এ বিষয়ে গভর্নর ভালোভাবে তদারকি করছেন। তিনি জানান, ম্যানেজমেন্ট রাইট রাস্তায় রয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে ব্যাংকিংখাতে পরিবর্তন দেখা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
তারল্য সহায়তার জন্য ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকগুলো থেকে টাকা ধার চাইছে, যা শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আইনের লঙ্ঘন হয়। কারণ ইসলামী ধারার ব্যাংক সুদ নেয় না আবার দেয়ও না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএবির ভাইস চেয়ারম্যানের মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সেন্ট্রাল ব্যাংকের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) সঙ্গে আলোচনা করছি। এটি ব্যাক্তিগত ইস্যু নয়। ওয়ান থার্ড অব দ্য ব্যাংকিং সিস্টেম ইসলামী পদ্ধতিতে পরিচালনা হচ্ছে। এ ধারার ব্যাংকগুলো কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। তবে এ সমস্যা সাময়িক।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তারল্য সংকট কাঁটিয়ে উঠবে। আগামীতে আমরা তারল্য সহায়তা নিবো না, তারল্য সহায়তা দিবো। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ব্যাংকিং সেক্টরের পজিটিভ অবদান রাখতে সক্ষম হবে, তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হবে।
এ সময় তাৎক্ষণিক সংকট কিভাবে কাটানো হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। তারল্য সংকট কাঁটিয়ে ওঠার জন্য নিবিড় ভাবে কাজ করছি। ব্যাংকটির (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক) যে জটিল সমস্যা তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে ওভারকাম করবো।
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর যে সুদ ভিত্তিক ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়ার আবেদন কোন ফর্মেটে চাওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এই বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। এখনি বলা সম্ভব হচ্ছে না।