ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

প্রগতির কাছে পাওনা টাকা আদায়ে সংবাদ সম্মেলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন

mzamin

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এস আর ট্রাক্টরস। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সামসুল হুদা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাওনা না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি এই পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে লিখিতভাবে জানানো, উকিল নোটিস পাঠানো এবং পত্রিকায় মানবিক আবেদন প্রকাশ করেছি। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি কোনো সাড়া দেয়নি।

সামসুল হুদা বলেন, প্রগতির শুরু থেকেই আমি অন্যতম এজেন্ট ও ডিলার হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নানান কারণে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং বন্ধের উপক্রম হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দেনা পরিশোধ ও ট্যাক্স সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়ে লে-অফ হওয়ার পথে ছিল। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক এবং বিদেশি মুদ্রার অপচয় ঠেকাতে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। আমি বিআরটিসি এবং সরকারের অন্য দপ্তরকে তখন বোঝাতে সক্ষম হই, বিদেশ থেকে সরাসরি গাড়ি আনলে দেশের মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হয়। সে কারণে প্রগতির মাধ্যমে গাড়ি নিলে একই মানের গাড়ি অনেক কম মূল্যে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগের পরে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ও সরবরাহ বেড়ে গিয়ে তা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি এসআর ট্রাক্টরস থেকে সে সময় জোরপূর্বক চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। টাস্কফোর্স তদন্ত করে সে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করে।

এরপর ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে সে মামলায় আদালতে আমি রাজসাক্ষী হিসেবে সব সত্য বিষয় তুলে ধরি। ওই মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের সাজা হয়, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ ঘটনার মাধ্যমে সততার নজির স্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিআরটিসিতে মিনিবাস, বাস ও ট্রাক মিলিয়ে মোট ৫৪৭টি গাড়ি বিক্রি করে প্রগতি। এসব গাড়ির কার্যাদেশ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে সংগ্রহ করা, ডেলিভারি বা রিসিভ করা এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টির জন্য নির্দিষ্ট হারে কমিশন নির্ধারিত হয়। সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলেও সে বাবদ প্রাপ্ত কমিশন আজও বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। সব মিলিয়ে প্রগতির কাছে আমার পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার ১২০ টাকা।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status