অর্থ-বাণিজ্য
মার্চের মধ্যে ৯০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারবাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে। আর ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে এডিবি। সব মিলিয়ে আগামী মার্চের মধ্যে বহুজাতিক এ সংস্থা থেকে ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। রোববার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এই অর্থ সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে এডিবি’র প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে এডিবি’র সিনিয়র অ্যাডভাইজার এডিমন গিনটিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর হুয়ে ইউন জুয়াং, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম অর্থায়ন সহযোগী। আজকের বৈঠকে আমরা ক্লাইমেট ফান্ড এবং অন্যান্য জলবায়ু প্রকল্পগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। এ ছাড়া ব্যবসা- বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলাপ হয়েছে। এডিবি তার চলমান অর্থায়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, বাজেট সহায়তা বাবদ এডিবি যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা তা ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে।
এ ছাড়া ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের সংস্কারের জন্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যাংক খাতের সংস্কারের জন্য ১.৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে এই খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি। এ ছাড়া জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বৈঠকে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে: দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আজকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডি’র সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারস্টিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে আরও বাড়তি টাকা তারা দেবে। কর সংস্কারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব আলাপ হয়েছে।