অর্থ-বাণিজ্য
দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন বাতিল করতে হবে: সিপিডি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৮ আগস্ট ২০২৪, রবিবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, ‘দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জবাবদিহিতা বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’
রোববার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার সিপিডির প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। এছাড়া উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে বছরে বিপিডিবির ক্ষতি হচ্ছে ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি এবং বেসরকারি কোম্পানির কাছে বকেয়া বিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক ৩৭ হাজার ৯৩ কোটি টাকার বাড়তি বোঝা টানতে হচ্ছে।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রথমে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় ধরনের সংস্কারে মনোনিবেশ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে এই সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন ২০১০ বাতিল করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের সঙ্গে তাদের শুল্ক পুনর্নির্ধারণের জন্য পুনরায় আলোচনা করা, বিশেষ করে যেসব কোম্পানিতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রয়েছে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ন্যূনতম সময় পার করেছে।’
সিপিডি পরিচালক বলেন, ‘তৃতীয় পদক্ষেপ হতে হবে, যেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির জন্য অযাচিতভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বাতিল করতে হবে।’
এ খাতের জন্য ১৭টি সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে জোর দিতে হবে।’
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পে অনুযায়ী, চুক্তি সংশোধন করলে, ভর্তুকির চাপ কমবে। গ্রাহককে বাড়তি দাম দিতে হবে না বলেও আমরা মনে করছি।’
সিপিডির সাথে আমরাও একমত। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকার দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন বা কুইক রেন্টালের নামে সামিট গ্রুপের আজিজ খানকে মহা লুটপাটের বিশাল আয়োজন করার সুযোগ করে দেয়। যার বদৌলতে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এই আজিজ খান! জনগণকে চরম দারিদ্রতায় রেখে আজিজ খানের এই শীর্ষ ধনী হওয়াতেই বোঝা যায় কি সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটে এরা এবং এদের দোসররা জড়িত। অবিলম্বে কুইক রেন্টাল আইন বাতিল করে এর সাথে লুটপাটে জড়িত সকলের বিচার চাই।
চমৎকার একটা সেক্টর কে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছে না। কিনতে পারছে না তেল গ্যাস। বৈদেশিক মুদ্রার অভাব। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার নেই। আবার শুরু হয়েছে লোডশেডিং। অসৎ লোকের হাতে পড়লে যা হয়। ঠিক তাই হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ অফিসে কাজ করুক বা না করুক বেতন দিতে হবে। কি যেন আইনটা। মনে পড়ছে না। সরি। মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। কেন। ভরসা পাচ্ছে না। যদি ব্যাংক টাকা না দেয়। অদ্ভুত সব চোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। কিসের পিএইচডি কিসের ফার্স্ট বয়। চুরি বড় ধর্ম।আলু ৬০ ৭০ টাকা কেজি । ইলিশ মাছ আড়াই হাজার টাকা কেজি। প্রায় ২৫ ডলার। এদের কঠোর হাসতে দমন করুন। নো মারসি। জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে। বাজার যেতেই ভয় লাগে। উপরওয়ালা এমন একটা খাবার দিত যে দশ দিন না খেয়ে থাকা যেত। তাহলে এই প্রবলেম আর হতো না। ভরসা আছে নতুন সরকার হয়েছে। এদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করা যায়। শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দয়া করে একটু দেখবেন। ধন্যবাদ।