বিশ্বজমিন
দোহায় হানিয়ার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ৬:০১ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে কাতারের রাজধানী দোহায়। মুসলিম বিশ্বে একজন সংগ্রামী ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত হানিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে দোহার আবদুল আল-ওয়াহাব মসজিদ প্রাঙ্গণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রাজধানী দোহার উত্তরের লুসাইলের একটি এলাকায় চির নিদ্রায় শায়িত সমাহিত করা হবে ইসমাইল হানিয়াকে। তার জানাজায় হামাস সহ বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। হানিয়ার রাজনৈতিক শাখার অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন দোহায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, হানিয়ার কফিন ফিলিস্তিনের পতাকায় মোড়ানো ছিল যেটিকে ঘিরে হাজার হাজার মানুষ তার জানায় উপস্থিত ছিলেন। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানাজায় উপস্থিত হয়ে রয়টার্সকে ফোনে বলেছেন, আজ দখলদার ইসরাইলের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে দেশটি অচিরেই গভীরভাবে তলিয়ে যাবে এবং সেই সময় খুবই নিকটবর্তী। হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ওই নেতা। গত বুধবার তেহরানের একটি অতিথিশালায় অবস্থান করছিলেন হামাস নেতা হানিয়া। আগের দিন তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে বুধবার ভোরে তার ভবন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি নিহত হন। হানিয়াকে হত্যার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে ইরান এবং হামাসের দাবি ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইসরাইলে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খমেনি। হানিয়ার সঙ্গে তার দেহরক্ষীরও মৃত্যু হয় ওই হামলাতে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছে কাতারের জনগণ। তারা মনে করেন হানিয়া গাজাবাসীর জন্য আলোর প্রদীপ হিসেবে কাজ করছিলেন। আয়েশা নামের এক নারী আল জাজিরাকে বলেছেন, আমি মনে করি ফিলিস্তিনিদের সাথে আমাদের সংহতি প্রদর্শন করা উচিত এবং এই বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমরা তাদের সাথে আছি। শারীরিকভাবে কিছু না করতে পারলেও আমরা তাদের সঙ্গে আছি বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
উল্লেখ্য, হানিয়ার মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি ইরান-ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে গাজা যুদ্ধও আরও দীর্ঘ হতে পারে।