দেশ বিদেশ
আজ জেলা-মহানগরে এবং কাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০২৪, বুধবারকোটা আন্দোলনের দাবির সফল বাস্তবায়নে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আজ থেকে সর্বাত্মকভাবে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে ‘প্রধানমন্ত্রী ‘কটূক্তি’ এবং সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগসহ পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে সকল জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘নির্মম’ হামলার পর’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এসব কথা বলেন।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ই জুলাই একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ থেকে কোটা প্রথা বাতিলের এই আন্দোলনে সব সময় মাঠে থেকে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে ছাত্রদল আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীদের বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা মূল উৎস তথা অবৈধ ফ্যাসিবাদী এই সরকার হটিয়ে প্রকৃত চেতনা তথা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। একইসঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী ‘কটূক্তি’ এবং সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগসহ পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বুধবার সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় ছাত্রদল।
কোটা আন্দোলনে ছাত্রদল রাজপথে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে যেদিন থেকে সভা-সমাবেশ শুরু করছে তখন থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের পাশে রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল সর্বাত্মকভাবে এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে ছাত্রদলের কোনো তৎপরতা নেই, সাংগঠনিকভাবে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আগামীতেও আমরা সাংগঠনিকভাবে এই আন্দোলনে কোনো তৎপরতা করবো না। কিন্তু বরাবরের মতো অবশ্যই আমরা তাদের পাশে থাকবো।
কেন সাংগঠনিকভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে না জানতে চাইলে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, আজকে আমরা যদি কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যানারে নেতাকর্মী নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি সেটাতে আন্দোলন ভিন্নখাতে চলে যাবে। সেজন্য আমাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের ইস্যুতে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারেই সর্বাত্মক অংশগ্রহণ করবে। এতে কে কি বললো আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা আমাদের মতো করে তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি, সর্বাত্মকভাবে তাদের পাশে রয়েছি, সর্বাত্মকভাবে পাশে থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তরাঁর মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।