ঢাকা, ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

দেশের ব্যাংকিং খাত এখন দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে: আহসান এইচ মনসুর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১১ মাস আগে) ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ব্যাংক খাত এখন ব্যাপক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। ব্যাংক খাতে টাকা নেই, আর ডলারও নেই। ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকারকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

শনিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থার কারণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, সাধারণ মানুষ আমানত নিয়ে নিশ্চয়তা পাঁচ্ছে না, ব্যবসায়ীরা বেশি সুদ দিয়েও ঋণ পাচ্ছে না। টাকা বাহিরে চলে গেলে তো সঞ্চয় থাকবে না। রাজস্ব খাতে সরকারের ব্যাপক ব্যর্থতা। সরকারের সামর্থ্য সরকার নিজেই হারিয়ে ফেলেছে। ধার করার সক্ষমতাও নেই। ব্যাংক খাতে টাকা নেই। পাশাপাশি ডলারও নেই।

তিনি বলেন, দেশের আর্থিক খাতের তথ্য সবচেয়ে বেশি লুকানো হচ্ছে। তবে এই খাতের তথ্য বেশি প্রকাশ্যে রাখা উচিত ছিল। ব্যাংক খাত না পারছে সরকারকে কিছু দিতে, আর না পারছে নিজেকে রক্ষা করতে। অর্থাৎ আমানতকারীদের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।

দেশের ব্যাংক খাত একেবারে শুরু থেকে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। কখনো ব্যাংক খাত পুরো সফলতার মধ্যে ছিলো না বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, আর্থিক খাত উর্ধ্বমূখী করার ব্যাপারে আমরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছি। ভারতের স্টক মার্কেট কোথায়, আর আমরা কোথায়?
আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই অস্বস্তিতে আছে দেশের ব্যাংকিং খাত। যেখানে টাকার সঞ্চয় হচ্ছে না। বড় একটা অংশ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতির স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এতে অর্থনীতিতে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। এই চাপ আর ভার বহনের সক্ষমতা ব্যাংকিং খাতের নেই। এর ফলে বিনিয়োগ সংকটে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। আসছে না নতুন বিনিয়োগ, হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থান। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে খুব মন্দা চলছে। সংকট নিরসনে আশার কোনো আলো নেই। আগে বলা হলো, নির্বাচনের পর নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নির্বাচন শেষে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় নি। আবার নতুন বাজেটেও তেমন উদ্যোগ নাই। মনে হচ্ছে, সরকার সমস্যাগুলো জিইয়ে রাখছে। যদিও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তবে সেগুলো আবার সংস্কারের জন্য যথাযথ নয়। যেমন, ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ আর্থিক খাতের সংস্কারের সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি।
দেশের কর রাজস্ব পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই অর্থনীতিবিদ। বলেন, পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে দেশের কর রাজস্ব আয় বাড়ানো যাচ্ছে না। এই খাতে যথেষ্ট হয়রানি রয়েছে। অথচ রাজস্ব আয় বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে কর আদায় বাড়াতে হবে। পাবলিক সার্ভিস বাড়াতে পারলে,  সেবার গুণগত মানে মানুষ সন্তুষ্ট হলে তখন আর কর প্রদানে মানুষের আপত্তি থাকবে না।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status