অর্থ-বাণিজ্য
পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১০ মাস আগে) ৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০১ অপরাহ্ন

পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে শুক্রবার (৫ই জুলাই)। এদিন শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হচ্ছে ৫ কোটি টাকার ওপরে। যে ব্যয় হবে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। এ সময় রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা।
সচিব বলেন, এই পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০শে জুন শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি উপলক্ষ্যে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট কত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, খরচ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত খরচ বলা সম্ভব না। তবে বাজেট ৫ কোটি টাকার ওপরে। ৫ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অনুমোদন করতে পারেন।
আগামী ৫ই জুলাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে সচবি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিল সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে যে কার্যক্রমগুলো নেয়া হবে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের সময় কম, সে কারণে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না।
পাঠকের মতামত
ঋণ কইর্যা ঘি (গু) খাও !!
সবার মন্তব্য যৌক্তিক মনে হল । অর্থের সাশ্রয় দরকার।
অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব বিবেচনা করে অনলাইনে করা হলে এই অনাহুত ব্যয় অনেকটা কমে যেত।
সমাপনী অনুষ্ঠান করার দরকার কি সার্কুলার জারি করে দিলেতো হয়।
দেশের মানুষ যখন দ্রবমূল্যের কোষাগাতে আক্রান্ত তখন ওদের উন্মত্ত আয়োজন আর রঙ্গলীলা | ওরা তো দেশটাকে ফকির করেসে | এখন ভিক্ষার ঝোলা হাতে দিতে চাই | এই আয়োজনে দেশের কি উপকার হবে কেও বলতে পারবেন ? ধিক্ককার জানাই তোদের এমন সব আয়োজন যেটাই দেশের কোনো উপকার নেই
অপব্যয়কারি শয়তানের ভাই।
যার ঋণের কিস্তি দিতে হচ্ছে, সেখানে সমাপনী অনুষ্ঠান করে অযথা আমাদের টাকা খরচের কি দরকার। এ ধরনের কাজ পৃথিবীতে হয়।তাও আবার টেন্ডার ছাড়া খরচ।
কথায় বলে টাকা থাকলে অন্যের বাপের শ্রাদ্ধ করা যায় আর টাকা না থাকলে নিজের বাপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও করা যায় না। এরা অন্যের বাপের শ্রাদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। অপচয় আর অপচয়।
কেউ কি বলবেন, পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন অনুষ্ঠান হয় কিনা?
এটাই বাংলাদেশ এভাবে অপব্যয় করা এটা মোটেও সমীচীন নাই। এভাবে দেশের টাকা অপচয় কোন মানে হয় না
Unnecessary waste of money.
দেশের ব্যাংকগুলো যখন দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছে তখন অহেতুক এই খরচগুলো না করলে হতো না? সেখানে নতুন ক্যন কথা তো হবে না, সেই পুরানো কথাই তো!
দেশের আর্থিক খাতের চরম ক্রান্তিকালে এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কতটুকু গ্রহণ যোগ্য?