দেশ বিদেশ
গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলা অব্যাহত
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৪, রবিবারগাজায় কোনো মতে জীবন ধারণ করে আছেন যেসব ফিলিস্তিনি তাদের ওপর তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তারা শাতি শরণার্থী শিবির এবং পার্শ্ববর্তী তুফ্ফা এলাকায় হামলা করেছে। এতে কমপক্ষে ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩৭,৫৫১। গাজায় সরকারের মিডিয়া অফিস বলেছে, অবিরাম হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ওদিকে লেবাননের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ অবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করেছেন। বলেছেন, লেবাননে আরেকটি যুদ্ধ বিশ্ব বহন করার সক্ষমতা রাখে না। লেবাননকে আরেকটি গাজা বানানো উচিত হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার খুব কাছাকাছি। নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত আল মাওয়াসিতে ইসরাইলের হামলায় হতাহতদের পাঠানো হয়েছে ভগ্নদশায় টিকে থাকা আল আকসা হাসপাতালে। ওদিকে রাফার আরও গভীরে পশ্চিম দিকে প্রবেশ করছিল ইসরাইলি ট্যাংক। যুদ্ধবিমান ও পদাতিক সেনারা শহরটির আরও ভেতরে প্রবেশ করছিল। তবে হামাসের পুঁতে রাখা বিস্ফোরকে তাদের একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলের এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস। তারা এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শাতি শরণার্থী শিবির, আল মাওয়াসি এবং রাফায় নতুন করে গণহত্যা শুরু করেছে ইসরাইল। গাজায় নিরস্ত্র নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা অব্যাহত রাখার টার্গেট করছে তারা।
দখলদারদের এই ক্রাইম এবং আইন লঙ্ঘনকে বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই নির্যাতন, আইন লঙ্ঘনের মূল্য দিতে হবে ইসরাইলি দখলদারদের। তাদের এসব অপরাধ ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাশক্তিকে ভাঙতে পারবে না। ওদিকে গাজা উপত্যকার হাইস্কুলের সিনিয়র ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীর এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ এক পরীক্ষা দেয়ার কথা। একে বলা হয় তাওজিহি। এই পরীক্ষা দেয়ার পর তারা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পান। কিন্তু ইসরাইলি সেনাদের চলমান আগ্রাসনের ফলে দোআ আল জানিনের মতো শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা এই যুদ্ধ শেষ হবে। তারা স্কুলে ফিরতে পারবে। তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর আগে আমি পড়াশোনা করছিলাম। স্কুলে পড়াশোনা করে বাড়ি ফিরতাম। তারপর বাসায় রিভাইজ করি। অতিরিক্ত পড়াশোনা করি। কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে গাজার বেশির ভাগ স্কুল ও ইউনিভার্সিটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আশা ছাড়িনি। অব্যাহতভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি স্কুলের আশ্রয়শিবিরে পড়াশোনা চালাচ্ছি।