বিশ্বজমিন
ইসরাইলি ‘সহিংস চরমপন্থি’ গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

ইসরাইলের ‘সহিংস চরমপন্থি’ একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবরুদ্ধ গাজায় যখন মানুষ দুর্ভিক্ষাবস্থায় আছে, তখন সেখানে মানবিক ত্রাণবাহী গাড়িবহরকে অবরুদ্ধ করে তার ব্যাপক ক্ষতি করার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, গাজামুখী মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাকগুলো সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব ইসরাইলি সরকারের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, ইসরাইলের ‘টিজাভ ৯’ গ্রুপের বিরুদ্ধে শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই গ্রুপটি গাজায় যেকোনো রকম সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। শুধু তা-ই নয়। একই সঙ্গে তারা ওইসব ট্রাকে লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় মানবিক সঙ্কটের যাতে আরও অবনতি না হয় এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি মোকাবিলায় এসব মানবিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইল, পশ্চিমতীরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে গাজামুখী এসব মানবিক ত্রাণবাহী গাড়িবহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসরাইল সরকারের।
এই অত্যাবশ্যকীয় মানবিক সহায়তাকে টার্গেট করে স্যাবোটাজ ও সহিংসতাকে আমরা বরদাস্ত করবো না। এর আকেদিন আগে ইসরাইলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেছেন, উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির গাজায় ত্রাণবহরকে নিরাপত্তা দেয়ার একটি আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এর একদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘোষণা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরে উগ্র ডানপন্থি ইসরাইল গাজায় কোনো ত্রাণবাহী শিপমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে এবং এসব যে সড়ক দিয়ে সরবরাহ দেয়া হবে, তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে তারা গাজার মানুষকে যেন শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলতে চায়। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে গাজায় ত্রাণ সহায়তায় ভয়াবহভাবে টান পড়েছে। কয়েক সপ্তাহে ত্রাণবাহী গাড়িবহরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দখলীকৃত পশ্চিমতীর হয়ে যেসব ত্রাণ যাবে, তাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। গত মাসে হেব্রন পাহাড়ি এলাকায় ত্রাণবাহী দুটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরাইলিরা। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘টিজাভ ৯’ গ্রুপকে দায়ী করেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ আটকে দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের যেকোনো রকম লেনদেন করার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।