বিশ্বজমিন
জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৪ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জি-৭। বৃহস্পতিবার ইতালির আপুলিয়ায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী সাত দেশের নেতারা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়েছে আফ্রিকা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নেতারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধে সহায়তার জন্য ইউক্রেনকে এই অর্থ দেওয়া হবে।
এছাড়া ইতালিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১০ বছরের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ বলে স্বাগত জানিয়েছে কিয়েভ। চুক্তিতে ইউক্রেন মার্কিন সামরিক ও প্রশিক্ষণ সহায়তার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে এই চুক্তিতে ইউক্রেনের মাটিতে মার্কিন সৈন্য পাঠানোর কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও তা বজায় রাখার লক্ষ্যেই ওই নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। ওই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনই লাভবান হবে বলে মনে করেন ওয়াশিংটন। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরো জোরালো হবে এবং দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ওই নিরাপত্তা চুক্তির অর্থ হল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে রুশ সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ তৈরি হওয়া।
রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে বছরে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার সুদ আসে। জি-৭ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই তিন বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরিয়ে ইউক্রেনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বার্ষিক সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হবে। তবে রাশিয়ার জব্দ করা এই অর্থ চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে ইউক্রেনের হাতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম। কিন্তু এটিকে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ ও দেশটির অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।