বিশ্বজমিন
অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত আর্জেন্টিনার রাজধানী
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ মাস আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আয়ার্স। দেশটির সিনেট সংক্ষিপ্তভাবে প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত অর্থনৈতিক সংস্কার প্যাকেজ অনুমোদন করায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের ওই অর্থনৈতিক প্যাকেজটি অনুমোদনের পরপরই রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সেখানের জনগণ। এসময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে তারা। এছাড়া দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা মনে করছেন এই সংস্কারের ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে পুরো আর্জেন্টিনাবাসী।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বুয়েনস আয়ার্স। সেখানে বেশ কয়েকটি আহতের খবরও পাওয়া গেছে। বিক্ষোভ দমাতে কয়েক শ নিরাপত্তাকর্মী কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছুড়েছেন। ব্যবহার করা হয়েছে জলকামান। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও তথ্য দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
দেশটির সরকারের দাবি তারা দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে এ সংস্কার প্রস্তাবটি পাস করেছে। প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারে দেশটিতে এক বছরের জন্য অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের ভাতা সীমিত করা, শিক্ষানবিশকালের মেয়াদ বাড়িয়ে শ্রম অধিকার দুর্বল করা হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কর্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেওয়া সহ রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এবং অন্যান্য বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি বলছে, দেশটিতে বাৎসরিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ৩০০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বর্তমানে আর্জেন্টিনার অর্ধেকের বেশি জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। দেশটির বামপন্থি সংগঠনগুলো এই সংস্কারের চরম বিরোধিতা করেছে। এছাড়া কংগ্রেসের ভিতরে সিনেটররা তুমুল বিতর্ক করেছেন। তারা প্রেসিডেন্টের বিলটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বুধবার সিনেটে ৩৬-৩৬ ভোটে এই বিলটি সমতা পেলেও তা ভেঙ্গে দিয়ে এই বিল পাস করেছেন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিলরুল। সিনেটের আলোচনায় বিরোধী আইনপ্রণেতারা দাবি করেছেন এ সংস্কার কার্যক্রম আর্জেন্টিনাকে কয়েক যুগ পিছিয়ে দিতে পারে।