বিশ্বজমিন
দিল্লির সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বৈধ নয়
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ মে ২০২৪, মঙ্গলবার
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৭টি নবজাতক মারা গেছে, তার কোনো বৈধ লাইসেন্স সেই। লাইসেন্স ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ওই হাসপাতাল চালাচ্ছিল। শনিবারের ওই অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালটির মালিক এবং দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাসপাতালটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপক (ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার) বা জরুরিভিত্তিতে বের হওয়ার পথ নেই। গুজরাটের রাজকোটে একটি গেমিং অর্কেডে আগুনে ২৭ জন পুড়ে মরার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজধানী দিল্লিতে এই ট্র্যাজেডি ঘটে গেছে। নিরাপত্তায় ঘাটতি থাকার কারণে মাঝে মাঝেই ভারতে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগে। কিন্তু শনিবার ভয়াবহ আগুন লাগে দিল্লির বিবেকবিহারে একটি হাসপাতালে। এতে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কমিশনার শাহদারা সুরেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, হাসপাতালটির অনাপত্তি সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ৩১শে মার্চ। হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব হাসপাতাল ভবনের উচ্চতা ১৫ মিটার বা ৪৯ ফুটের বেশি তাদের জন্য এই অনাপত্তি সনদ বাধ্যতামূলক। তিনি আরও বলেন, ওই হাসপাতালকে মাত্র ৫টি বেডের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সেখানে তারা স্থাপন করেছে ১০টি। আগুন লাগার সময়ে ওই হাসপাতালে ছিল ১২টি নবজাতক। এর মধ্যে ৫টি শিশুকে এখন অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আগুনের ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ডা. নবীন কিচি এবং ডা. আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন ডা. আকাশ। পুলিশ বলেছে, নবজাতকদের ইনটেনসিভ কেয়ারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বা চিকিৎসা সম্পর্কে তিনি যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না।
এ ঘটনায় দিল্লি সরকার ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার ওই হাসপাতাল ভবনটি জ্বলছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পরিচালক অতুল গার্গ বলেছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এই ট্র্যাজেডি হৃদয়বিদারক। এর তদন্ত হচ্ছে। দায়ীরা রেহাই পাবে না।