ঢাকা, ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

বাড়তি দামে স্থিতিশীল সবজি ও মসলার বাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(২ বছর আগে) ৮ জুলাই ২০২২, শুক্রবার, ৭:৫৩ অপরাহ্ন

কোরবানির ঈদের আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজি ও মসলার দামে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। বাড়তি দামেই স্থির আছে। একই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পিয়াজের দাম। এদিকে বরাবরের মতো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের আগে গরম মসলার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এবার অনেক আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলার দাম বেড়ে যায়। সেই বাড়তি দামেই স্থির রয়েছে। এর মধ্যেও দাম বেড়েছে শুকনো মরিচ, জিরা, তেজপাতা ও ধনের দাম। 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পিয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। পিয়াজের মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর। গত সপ্তাহের মতো আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। মুরগির বাজারে বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দু’টি সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি। গাজর ও টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া করলাও গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। তবে কাকরোলের দাম কিছুটা কমে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে কচুর লতি। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে কাঁচা পেঁপে গত সপ্তাহের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, ঈদ উপলক্ষে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। এ কারণে সবজির চাহিদাও কম। পণ্য কম আসার পরও দাম বাড়েনি। তবে ঈদের পর সবজির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আর পাবদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ইলিশেরও। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা।

এদিকে বাজারে আমদানি করা জিরার দাম কিছুটা বেড়ে এখন ৩৮৫ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে যা ছিল ৩৮০ থেকে ৩৮৫ টাকা। অর্থাৎ আমদানি করা জিরা পাইকারিতে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। তবে আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা জিরা আগের মতো ৪০০ থেকে ৪১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৬০ টাকা। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

এদিকে শুকনো মরিচের দাম বেড়ে গেছে। দেশি শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ২২০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে। আর আমদানি করা শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা।

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী রাজু বলেন, বাজারে আমদানি করা শুকনো মরিচের সরবরাহ কম। দেশি শুকনো মরিচও কম আছে। এ কারণে দাম একটু বেড়েছে। তবে শুকনো মরিচের এই বাড়তি দাম খুব বেশি দিন থাকবে না।
তবে কিছুটা বেড়েছে তেজপাতা ও ধনের দাম। তেজপাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। আর ধনে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status