ঢাকা, ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

আলীপুরা কলেজ নির্বাচন

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরির অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
৬ মে ২০২৪, সোমবার

পছন্দের লোককে গভর্নিং বডির কমিটিতে নির্বাচিত করতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধনকৃত ১৫ শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে দশমিনার আলীপুরা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে। উক্ত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানজারুল ইসলাম ফয়সালের পিতা  (অভিভাবক) মো. ফিরোজ আলম কর্তৃক জেলা প্রশাসক, দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গভর্নিং বডির নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে ক্রটিযুক্ত ও মনগড়া ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করার লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন- আলীপুরা কলেজ গভর্নিং বডি গঠন নির্বাচন-২০২৪ খ্রি. সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত ১৫ শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে অধ্যক্ষ মো. সাইফুদিন তার নিজস্ব লোককে মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত) নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ছাত্র-ছাত্রীর জীবিত পিতা মূল  ভোটারকে বাদ দিয়ে বেআইনিভাবে মাতাকে ভোটার এবং কলেজে বিধিগত কোনো প্রতিষ্ঠাতা না থাকায় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব লোককে বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নির্বাচনের জন্য যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন তা বানোয়াট, মনগড়া, ক্রটিযুক্ত  বিধিবহির্ভূত।  এ কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে প্রকাশিত ক্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকার ৩ নম্বরে শিক্ষার্থী মো. সিজান হোসেন একাদশ শ্রেণির রোল-৩, ১০ নম্বরে মো. সজীব হোসেন রোল-১০, ১৪ নম্বরে  শাহিন হোসেন রোল-১৪ এবং ২০ নম্বর ভোটারে আবুহুর রাহাত দ্বাদশ, রোল-২৩ এ ৪ জন শিক্ষার্থীর পিতার পরিবর্তে মাতার নাম অভিভাবক সদস্য ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। জানা গেছে, ইতিপূর্বে আলহাজ মো. সেকান্দার আলী আলীপুরা কলেজে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাবি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বোর্ড প্রতিনিধি পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খোন্দকার অলিউল ইসলাম ৩০.০৬.২০১৫ তারিখ তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন- মো. সেকান্দার আলী নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাবি করেন। বেসরকারি বিধিমালা অনুযায়ী আলীপুরা কলেজে কোনো প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের প্রামাণিক কোনো দলিল নেই। প্রায় তিন একর জমির উপর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত। এ জমি এলাকার সাধারণ জনগণ দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
একক কোনো ব্যক্তির দান নাই। সুতরাং দাতা সদস্য অনেকে হতে পারে। কিন্তু বিধিঅনুযায়ী কেউ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে পারে না। অভিভাবক সদস্য ফিরোজ আলম আরও জানান,  অধ্যক্ষ মো. সাইফুদ্দিন তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে অত্র কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ০৭.০৯.২৩ তারিখ যোগদান করেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষ মো. সাইফুদ্দিন পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নে এমপিওভুক্ত মধ্য কুড়িপাইকা দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে  চাকরি করে বেতন ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করে আসছেন। যার ইনডেক্স নং এম ০০১৮১৫৩।  এ ছাড়াও অধ্যক্ষ মো. সাইফুদ্দিন দশমিনার আলীপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে বাংলা প্রভাষক পদে চাকরি করেন। যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও  নীতিমালা-২০২১ এর পরিপন্থি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ রয়েছে বলেও ফিরোজ আলম জানান। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. সাইফুদ্দিন জানান, ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে আসেন না, তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত আছেন। মহিলা অভিভাবক ব্যাপারে অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থীর বাবা কলেজের স্টাফ থাকায় মাতাকে অভিভাবক করা হয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা স্বীকার করে অধ্যক্ষ জানান আমি কলেজে অধ্যক্ষ পদে অবৈতনিক হিসেবে কর্মরত আছি, এখান থেকে কোন বেতন-ভাতা গ্রহণ করি না। দশমিনার আলীপুরা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে বাংলা প্রভাষক পদে চাকরির কথা অস্বীকার করে বলেন উকিল নোটিশ যে কেউ দিতে পারেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেছেন, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ নিয়ে যারা এসেছিলেন তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে বলেছি। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য ৩ দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status