বাংলারজমিন
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওসি-এসআই’র বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
৩ মে ২০২৪, শুক্রবারচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর মো. তৌফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তাসকিনা জাহান নামে এক নারী আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। মামলার আদেনকারী নির্যাতনের শিকার তৌফিকুল ইসলামের মা। আবেদনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন ও দারেস আলী, সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলী আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আবেদনকারী তাসকিনা খাতুনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন আদালত। বাদীর আইনজীবী শেখ মো. শফিকুল ইসলাম বুলু মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ই এপ্রিল সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিম তৌফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানার পুলশের একটি দল। গ্রেপ্তার করার সাথে সাথেই এসআই কবিরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তৌফিকুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। নিষেধ করলে তার মা ও স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতর ফেলে দেয়। এতে দুজনেই জখম হন। পুলিশ তাকে গাড়িতে উঠিয়ে অমানবিক ভাবে লাথি-কিল, ঘুষি মারতে থাকে এবং বলে যে, থানায় চল তোকে জীবনের মত শেষ করে ফেলবো। থানায় নেয়ার পর ওসি হুকুম দিয়ে বলে তাকে আমাদের গোপন ঘরে নিয়ে যা, অর্থাৎ টর্চার সেলে নিয়ে যা।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মো. শফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা হেফাজতে মো. তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় তৌফিকুল ইসলামের মা বাদি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলী আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বাদী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শুনানি শেষে মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদও মডেল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন, যাকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা। আদালতের মামলার আবেদনের বিষয়টি জানতে পরার পর আমরা বাদির সঙ্গে কথা বলেছি। বাদি মামলা প্রত্যাহারের করে নিবে।