বাংলারজমিন
সরাইলে ইউএনও’র ব্যতিক্রম উদ্যোগ, সতর্ক অবস্থানে কর্মকর্তা-ঠিকাদাররা
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। যোগদানের ৪/৫ দিন পরই গ্রহণ করেন ব্যতিক্রম উদ্যোগ। দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে ছুটে চলেছেন মাঠে। টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঠিকাদারি কাজ সরজমিন নিয়মিত তদারকি করে আলোচনায় আসেন তিনি। কাজের অনিয়ম ও ভুলত্রুটি সংশোধনে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ তিনি। কিছুটা নড়েচড়ে সতর্ক অবস্থানে এখন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা। স্বস্তিতে আশার আলো দেখছেন সাধারণ মানুষ। সূত্র জানায়, সকল নির্বাহী কর্মকর্তাই নিজ উপজেলার সুনাম-খ্যাতি অর্জনের লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। চেষ্টা করেন নিজের সবটুকু দিয়ে। উনাদের মধ্যেও কাজে কর্মে কিছু ব্যতিক্রম ব্যক্তি রয়েছেন।
তদারকি করতে থাকেন টিআর, কাবিখা আর কাবিটা’র কাজ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ফিতা ধরে মেপে দেখেন। অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বা কোনো ধরনের ত্রুটি পেলে দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ দেন। সরাইল সদরের আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়ম ধরা পড়লে ঠিকাদারকে দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ দেন ইউএনও। স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজটি পুনরায় করতে বাধ্য হন ঠিকাদার। উনার এমন সরজমিন তদারকিতে এখন পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক অবস্থানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ঠিকাদারি কাজের মান অনেকটা ভালো হচ্ছে। টিআর ও কাবিখা’র টাকা লুটপাটের সুযোগ পাচ্ছেন না এক শ্রেণির লোকজন। এতে প্রত্যেকটা ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকজন স্বস্তি বোধ করছেন। ইউএনও’র পরিশ্রমের বদৌলতে মানসম্মত কাজ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এক সময় কাজের নামে লেফপুজ করে বিল উত্তোলন করে ফেলতো। কাজ না দেখেই বিল দিয়ে দিতেন। বর্তমান ইউএনও মহোদয়ের সরজমিন তদারকির ফলে সেটা আর হচ্ছে না। কাজে ত্রুটি থাকলে তিনি বিল আটকে দিচ্ছেন। উনার এই উদ্যোগ জনগণ ও দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। কাজের মানে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমার এই উদ্যোগের ফলে সরকারের দেয়া পাবলিক মানির অপচয় রোধ ও কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সরকারি অর্থে আমার তত্ত্বাবধানে নির্মিত কাজের মান ভালো হবে। সরকারের উন্নয়ন জনগণের কাছে ভালোভাবে দৃশ্যমান হবে। জনগণ এর উপকার ভোগ করতে পারবেন। একইসঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।