দেশ বিদেশ
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস
সেনাবহরকে ২০ মিনিট ফার্মগেটে আটকে রেখেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবারজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালি হত্যাযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে সর্বপ্রথম ফার্মগেট এলাকায় মুক্তিকামি ছাত্র-জনতার ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড তৈরির ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী’- শিরোনামে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সভাপতি ২৫শে মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন কমিটি। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ, সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন আহমেদ আলমগীর, তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জিলু, ইউনিসেফ সুপারস্টার ও টিভি রিপোর্টার সুবহা সাফায়েত সিজদা। আলোচনায় সভায় বক্তারা ২৫শে মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড এর গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করেন এবং ফার্মগেট ব্যারিকেড এর ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকার ফার্মগেইট এলাকায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
আলোচনা সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড তৈরির ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এরপর ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক- স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। এখন আমাদের নতুন প্রজন্মকে এ গৌরবের ইতিহাসগুলো জানাতে হবে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে তৎকালীন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল এর নেতৃত্বে ছাত্র জনতা ব্যাকিকেড তৈরি করে একটি প্রশিক্ষিত সেনা বহরকে যেভাবে ২০ মিনিটের মতো ফার্মগেটে আটকে রেখেছিলেন তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে রাখবে। প্রধান আলোচক শাজাহান খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। এটি ছিল বিশ্বের ইতিহাসে একটি গণহত্যা। বিশ্বের কাছ থেকে আমাদেরকে এ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবহরকে ব্যারিকেড দিয়ে ফার্মগেট তথা তেজগাঁওবাসী এক বীরত্বের ইতিহাস রচনা করে। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ফার্মগেট প্রতিরোধের নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা তার আহ্বানেই প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তিনিই ছিলেন আমাদের প্রেরণা। আমরা আজ সার্থক। নতুন প্রজন্মকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটুকু জানাতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ ফার্মগেট এলাকা। সে রাতে আমরা ছাত্র- জনতা বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বহরকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো আটকে রেখেছিলাম। আমরা গাছ কেটে, লোহার চাঁই দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছিলাম, ঢিল, পেট্রোল বোমা ছুড়েছিলাম। কিন্তু সেনা বহরটি ২০ মিনিটের বেশি আটকে রাখতে পারিনি। তারপরই এই বাহিনী ঢাকা শহরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু সেদিন না পারলেও নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
ইতিহাসের সংশোধিত নব্য সংযোজন যা ৫৩ বছর সাইবেরিয় অঞ্চলের তুষারে চাপা ছিল। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে তৃষার গলে বেরিয়ে আসছে অনেক অজানা ইতিহাস, আরও অপেক্ষমান।
পরাজিত নেংটি ইঁদুরের ছানাদের কাছে এসব তথ্যের কোনো মূল্য নেই।
তাজুল সাহেব কি কোন দিন আওয়ামিলীগ বা ছাএ রাজনীতি করেছেন? অনেক য়ূগ পর একটা কিচছা পড়লাম।
নতুন তথ্য!!!