বিশ্বজমিন
ভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ আদালতের
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ মাস আগে) ২৪ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ৩:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
ভারতের জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসাকে বন্ধ ঘোষণা করেছে আদালত। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের থেকে আরো দূরে সরে যেতে পারেন মুসলিমরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনুমোদন বা পরিচালনার জন্য একটি আইন করা হয় ২০০৪ সালে। কিন্তু শুক্রবারের রায়ে আদালত সেই আইন বাতিল ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সাংবিধানিকভাবে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে মাদ্রাসা প্রচলিত থাকলে তা এই সংবিধানকে লঙ্ঘন করে। এই শিক্ষাকে বাতিল করে শিক্ষার্থীদেরকে প্রচলিত স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয় আদালত। রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেন, এলাহাবাদ হাই কোর্টের এ রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ২৭ লাখ শিক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ২৫ হাজার মাদ্রাসা। এ রাজ্যের মোট ২৪ কোটি মানুষের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ হলেন মুসলিম।
বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী তাদের লিখিত রায়ে বলেছেন, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে যাতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত না হয় ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আইনজীবী অংশুমান সিং রাঠোরের এক আপিল আবেদনে আদালত ওই রায় দেয়। রাঠোর কোনো রাজনৈতিক গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে ভারতে। এতে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বিজয়ী হতে পারেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু ইসলামবিরোধী ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য এবং নজরদারিকে উৎসাহিত করার জন্য বিজেপির কিছু সদস্য এবং সমমনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছেন মুসলিমরা ও অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। তবে ভারতে ধর্মীয় বৈষম্য থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন মোদি। বিজেপি বলেছে, ঐতিহাসিক যেসব ভুল ছিল তা পরিবর্তন করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দুদের জন্য একটি মন্দির উদ্বোধন করেছেন।
উত্তর প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি বলেছেন, রাজ্য সরকার মাদ্রাসাবিরোধী নয়। মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিষয়ে সচেতন রাজ্য। তিনি বলেন, আমরা মাদ্রাসার বিরোধী নই। আমরা বৈষম্যমূলক শিক্ষার বিরোধী। আমরা অবৈধ অর্থায়নের বিরোধী। আদালতের নির্দেশের পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এমন রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুধাংশু চৌহান। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্মীয় নির্দেশনা কোনো স্কুলের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। ধর্মীয় শিক্ষার অনুমতি দিয়ে বিধিবদ্ধ শিক্ষা বোর্ড তৈরির কোনো ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই।
মাদ্রাসা কর্মকর্তা জাভেদ বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে তিনি নিজের দল এবং তার সম্প্রদায়ের মধ্যে অগ্রাধিকারকে খুঁজে নেন। শুক্রবারের রায়ের পর থেকে মুসলিমদের দিক থেকে তার কাছে অসংখ্য কল আসছে। তার ভাষায়, আমাকে প্রচুর ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে চয়। একজন মুসলিম হওয়ায় দল আমাকে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পাঠায় তাদেরকে আশ্বস্ত করতে এবং তাদের পক্ষে ভোট চাইতে। কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা কর্মসুচিতে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে চলি। কারণ, আমি এতটাই ভয় পাচ্ছি।
আগে জানতাম ইন্ডিয়া একটি অসভ্য দেশ। আগে জানতাম ইন্ডিয়ানরা অসভ্য জাতি(৭০% মানুষ রাস্তা ঘাটে উদাম হয়ে হাগে) ! আর এখন দেখলাম ভারতের বিচার ব্যাবস্থাও উদাম হয়ে হাগে !!
আওয়ামী লীগ হল ইন্ডিয়ার পন্য।আসুন ইন্ডিয়ান পন্য বর্জন করি
নবীর দেশে এতো পরিবর্তন হওয়া স্বত্ত্বেও ভারতের এই ব্যাপারগুলো নির্ঘাত বোকামি
We devided india............................
কত জঘন্য বিচার, রাম রাজত্ব আর মুসলিম বিতাড়নের জন্য ভারত মায়ানমারের পরিনতি বরণ করবে তাতে কোন সন্ধেহ নেই। 1947 সালে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অসম ভাবে ভুমি বন্টনের কারনে ভারতের মুসলমানের এই করুন পরিনিতি হচ্ছে। ভারতের 30 কোটি মুসলমান একদিন আবার স্বাধীনতা লাভ করবে ইনশাল্লাহ।
নিজেদের ধ্বংস রচনা করছে।
Wait..............
একদিকে রাম মন্দির নির্মাণ করে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, আর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করা হচ্ছে। আর কত কিছু যে দেখার বাকি?
মৃত্যুর পর জানাজার নামাজ পরার জন্য শেষ পর্যন্ত মাদ্রাসা থেকে পাশ করা এসব মোল্লাদেরই শরণাপন্ন হতে হয়।
তাহলে মন্দিরের জন্য ব্রাহ্মণ পুরোহিত, প্যাগোডার জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং চার্চ এর জন্য খৃষ্টান পাদ্রী তৈরি করার শিক্ষাও তো ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী।
দুঃখজনক বিষয় ভারতের কাছ থেকে এটা আশা করিনি
মোদি একজন সন্ত্রাসী
mr. Hanif Al azam z change ur name.....
আসলে একটি সম্প্রদায় বা জাতিকে অথর্ব অকর্মণ্য পরমূখাপেখী করে রাখার জন্য প্রাচীনকালে রাজা নবাব জমিদার ভূপতিরা হিন্দুদের জন্য গুরুকুল আর মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন করেন কালচক্রে মানুষ যখন স্বাধিকার সন্মন্ধে সজাগ হতে শুরু করে তখন মানুষ এসব থেকে মুখ ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাতে করে হিন্দুদের গুরুকুল একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়,কিন্তু এখানে মুসলিম চতুর মোল্লারা শুধুমাত্র পরকালের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসা নামক সেকেলে ধ্যানধারণার খোয়াড়কে ব্যাপকতা দান করে,আজ প়্রতিবেশী দেশ হয়েও ভারত প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ উৎপাদনে বিশিষ্ট স্থানে অবস্থান করছে অপরদিকে বাংলাদেশ পাকিস্তান মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে আজ কি অবস্থায় আছে তাহা সহজে অনুমেয়|
কিন্ডারগার্টেন, কনভেন্ট স্কুল, মিশনস্কুল,টোল ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অবিলম্বে বন্ধ ঘোষণা করা হোউক । সংবিধানের দোহাই দিয়ে হিন্দু মৌলবাদী বিচারকরা যে রায় দিচ্ছেন তা অখণ্ড ভারতের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনবে না। অপেক্ষায় থাকলাম এখানেও এর হাওয়া আছড়ে পড়ে কিনা ।
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে মোদী হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ইউপিতে সফল হওয়ার পর সব প্রদেশে এই পদক্ষেপ নিবে অবশ্যই।
অপেক্ষায় আছি আমাদের ভোটাধিকার হরনকারী চেতনাধারীরা কি বলবেন এইটা তাদের আভ্যন্তরীন ব্যাপার??...
আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাধারীরা এখন কি বলে সেটা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।
ভারতের উচিত প্রতিবেশী মায়ানমারের থেকে শিক্ষা নেয়া,কিছুদিন আগে মায়ানমার মুসলিমদের বিরুদ্ধে যা করছিলো তা অনেক বেশি করে দিয়ে আল্লাহ ফিরিয়ে দিছেন তাদের মধ্যে, আর ভারত সেতো ভাংবেই।
এরা যে কতটা সাম্প্রদায়িক্তা তাঁদের কর্মকাণ্ডে বুঝা যায়, তবুও বাংলাদেশের কিছু আবাল তাঁদের হুজুর হুজুর করে আর বাংলাদেশের তথাকথিত ভণ্ড প্রগতিশীলদের এই ব্যপারে প্রতিক্রিয়া থাকে না। তাঁরা পারে শুধু কিভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে খোঁচা দিতে, অন্য ধর্মের কার্যকলাপ নিয়ে তাঁরা কিছু দেখে না। আর আপনি পারলে মন্তব্য টা প্রকাশ করিয়েন না। হক কথা শুনতে তো ভালো লাগে না।
মাদ্রাসা শিক্ষা একটি ধমানিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কেন চলবেনা বোধগম্য নয়।
ভারত যা শুরু করছে অদূর ভবিষ্যতে এই দেশটা কঠিন বিপদের সম্মুখীন হবে। আল্লাহ্ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।