দেশ বিদেশ
চাঁপাই নবাবগঞ্জেও বাড়ছে নদীর পানি ভাঙনের শঙ্কা
চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবারচাঁপাই নবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীতেও বাড়ছে পানি। পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এদিকে পদ্মার পাশাপাশি মাহনন্দা ও পুনর্ভবা নদীতেও বাড়তে শুরু করেছে পানি।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে দশমিক ৩০ মিলিমিটার, মহানন্দায় দশমিক ২৭ মিলিমিটার, আর পুনর্ভবা নদীতে দশমিক ১০ মিলিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০-১২ দিন থেকে পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর থেকে নামোজগন্নাথপুর পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত এ ভাঙন রোধ করা না গেলে গত বছরের মতো এবারও পদ্মায় বিলীন হবে বসত ভিটাসহ হাজার হাজার বিঘা জমি।
মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা মুরশালিন। তিনি জানান, গত বছর আমাদের অনেক ধানিজমি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওইসব জমি থেকে ৭-৮ মাসে চাল উৎপাদন হতো। আমার এক প্রতিবেশীর ২-৩ বিঘা জমি পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে বাড়ি, ভিটামাটি হারিয়েছেন। আমাদের সান্ত্বনা দেয়ার জন্য জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। কিন্তু ১৫-২০ দিনের মাথায় ওই জিওব্যাগগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
শিমুল নামের এক যুবক বলেন, মনোহরপুর থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত নদীভাঙন শুরু হয়েছে। পাড়গুলো বেলেমাটির হওয়ার কারণে নিমিষেই পদ্মার করাল গ্রাসে নেমে যাচ্ছে। গতবছরও অনেক নদীর তীরবর্তী মানুষ তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছিলেন। আবার অনেকের ভিটামাটি, ধানিজমি, আমবাগান নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত ভাঙন না রুখলে জনবসতিও বিলীন হয়ে যাবে।
দূর্লভপুরের মনোহরপুর গ্রামপুলিশ সদস্য শাহীন বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীতে পানি বাড়লে কিংবা কমলে ভাঙন ধরে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, পদ্মায় বিপদসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ৫০ মিলিমিটার, বর্তমানে পানি আছে ১৪ দশমিক ৬৮ মিলিমিটার। মহানন্দায় বিপদসীমা ধরা হয়েছে ২১ মিলিমিটার, সেখানে ১৫ দশমিক ০১ মিলিমিটার পানি আছে। পুনর্ভবায় ২২ মি.মি. বিপদসীমা ধরা হয়েছে। তবে বর্তমানে ওই নদীতে পানি আছে ১৫ দশমিক ৯৭ মিলিমিটার।’
চাঁপাই নবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, পদ্মাপাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকার কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ওইসব এলাকায় কাজ শুরুর অনুমতি পাইনি। অনুমতি পেলে আমরা ভাঙন রোধে কাজ শুরু করবো।