দেশ বিদেশ
চাহিদার তুলনায় মজুত বেশি তবুও চড়া দাম আলুর
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জে প্রতিদিন বাড়ছে আলুর দাম। বিগত বছরে একটানা লোকসান হওয়ায় এবার আলুচাষ কিছুটা কম করেছে কৃষকরা। এই সুযোগকে কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চড়া দামে বিক্রির জন্য আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন। মুন্সীগঞ্জে আলুর দাম বৃদ্ধি এবং আলু সংকট তৈরি হলে এর প্রভাব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে মুন্সীগঞ্জের খুচরা আলু ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকলেও এ বছর লাগামহীনভাবে বাড়ছে।
গতকাল সদর উপজেলা ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কোল্ড স্টোরেজ ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আলু চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে আলু ক্রয় করছেন। এ সময় খুচরা আলু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের এ সময় হিমাগারে অনেক ব্যস্ততা থাকে। আলুর বিক্রির পরিমাণ গত বছরের মতোই। তবে দাম খুব চড়া। গত ১০ দিনে বস্তা প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা দাম বেড়েছে। কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ভোক্তাদের মোট আলুর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার ৮৮ টন। সেখানে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ টন। জেলার হিমাগারগুলোতে মঙ্গলবার পর্যন্ত মজুত রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৩২ টন আলু। জাতীয় পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টন। দেশে আলুর চাহিদা ৮৯ লাখ ৯২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৯১ লাখ ৯ হাজার টন। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে অন্তত ২০ লাখ টনের বেশি আলু।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবিএম মিজানুল হক বলেন, গত বছর আলু উৎপাদন সামান্য কম হলেও তা মুন্সীগঞ্জে আলুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। এখনো যে পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুত আছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। জাতীয় পর্যায়েও একই অবস্থা।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবিএম মিজানুল হক বলেন, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে ভোক্তা অধিকারসহ আমরা কাজ করছি। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাঠকের মতামত
ব্যবসায়ীরাতো আর এমনি এমনি এই লুটেরাদের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে না
টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয় করা হোক।