ষোলো আনা
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ থেকে বলছি
আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, পর্তুগাল থেকে
২৮ মে ২০২২, শনিবারযখনই দেশের কারও সঙ্গে কথা হয়- কই থাকি বলতেই বলে ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ। পর্তুগালে থাকি দীর্ঘদিন। বাংলাদেশের মানুষের পর্তুগাল সম্বন্ধে তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে চেনেন এক নামেই। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই ফুটবলার পর্তুগালেও বেশ পরিচিত। রোনালদো যখন যে শহরে যান ভক্তরা পিছু নেন সেখানে। একনজর দেখার জন্য হাজারো মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। আর রোনালদোর খেলা চলাকালে উচ্ছ্বসিত মানুষ ভিড় করে বসে পড়েন টেলিভিশনের সামনে। ক্যাফেগুলোতে থাকে স্টেডিয়ামের আবহ।
মাঠের বাইরের মানুষ হিসেবে রোনালদো একজন অসাধারণ ব্যক্তি। রক্ত দান করেন বলে ট্যাটু আঁকান না শরীরে। তিনি ইউনিসেফ, সেইভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের মতো চ্যারিটি সংস্থার অ্যাম্বাসেডর।
অনেক দাতব্য সংস্থাতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে নিজের অর্জিত বোনাসের বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করেছেন রোনালদো।
খেলোয়াড়ি জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি পরিবারের হালও ধরেছেন রোনালদো। পুরো সান্তোস পরিবারটিকেই বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছেন আলাদা পরিচিতি। ভাইকে মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত করে পর্তুগালে অবস্থিত রোনালদোর নিজস্ব জাদুঘর সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া রোনালদোর বিভিন্ন ব্যবসায়িক দিকও সামলান তিনি। রোনালদোর দুই বোনও স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল। কাতিয়া এভেইরো পর্তুগালের জনপ্রিয় পপ তারকা এবং ইলমা এভেইরো একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। মা ভক্ত রোনালদো এখনো অবসর সময় কিংবা পারিবারিক ভ্রমণে বের হলে মাকে সঙ্গে নিয়ে যান। পরিবারের প্রতি রোনালদোর ভালোবাসা এবং নিবেদন সবার জন্যই অনুসরণীয়।
পর্তুগালে রয়েছে CR7 নামে রোনালদোর একটি বুটিক হাউজ আছে। এ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী তিনি চালু করেছেন CR7 ব্র্যান্ডের জুতা, শার্ট, প্যান্ট, কম্বলসহ নানা রকমের পণ্যের ব্যবসা। যা বিশ্বে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। Pestana CR7 Lisboa নামে লিসবনে রোনালদোর মালিকানাধীন একটি চারতারকা মানের হোটেল রয়েছে।
রোনালদো তার দেশের মানুষের কাছে অসম্ভব প্রিয় নাম। পর্তুগিজরা ফুটবল ভীষণ পছন্দ করেন। তাদের কাছে ফুটবল মানেই রোনালদো। সবার আবেগে মিশে আছেন এই তারকা। এমনকি রোনালদো যেসব পণ্যের মডেল হয়েছেন সেগুলোও তার দেশের মানুষ অনেক পছন্দ করেন এবং সাদরে গ্রহণ করেন।