আপন আলোয় মানবজমিন
মানবজমিন ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
ফয়সাল রাব্বিকীন, বিভাগীয় প্রধান, বিনোদন বিভাগ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার
২৫ পেরিয়ে মানবজমিন পা রেখেছে ২৬ এ। আর প্রিয় এ দৈনিকটির বিনোদন বিভাগে আমি কাজ করছি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। আমার কাছে মানবজমিন একটি পরিবার। শুরু থেকেই আমাদের বিনোদন টিমকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মতি ভাই (মতিউর রহমান চৌধুরী) ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী ভাবী। মানবজমিন অফিসের আবহ, কাজের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন কারণে এ দৈনিকটিতে এত বছর ধরে কাজ করে যাওয়া। বিনোদন বিভাগে যোগ দিয়ে ইনচার্জ হিসেবে পেয়েছিলাম প্রিয় মোশাররফ রুমী ভাইকে। ছিলেন চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য সাংবাদিক আওলাদ হোসেইন ভাই। এই দু’জনের কাছ থেকে আমি প্রতিনিয়ত শিখেছি। দুঃখজনকভাবে তারা দু’জনই আজ পৃথিবীতে নেই। ২০২০ সাল থেকে পত্রিকাটির বিনোদন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছি। যদিও আমার জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জের ছিল। তারপরও প্রধান সম্পাদক ও সম্পাদকের সহযোগিতা ও উৎসাহে সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিনোদন টিম। বর্তমানে মুজাহিদ সামিউল্লাহ ভাই ও হুমায়ূন কবির মাসুদ রয়েছেন বিনোদন টিমে। এর আগে এই টিমে ছিলেন মারুফ কিবরিয়া, কামরুজ্জামান মিলু, মাজহারুল ইসলাম তামিম ও মিফতাহুল জান্নাত। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। করোনা পরবর্তী সময়ে যেকোনো মিডিয়া হাউজের টিকে থাকাটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জের। অনেক বড় হাউজ কর্মী ছাঁটাইও করেছে। আবার অনেক হাউজে বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মানবজমিন সেক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কর্মীদের কথা ভেবেছেন প্রধান সম্পাদক ও সম্পাদক। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে মানবজমিন এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২৫ বছরে এমন অনেক বাধা পার করেছে পত্রিকাটি। কারও তাঁবেদারি না করে এগিয়ে চলছে। এর চেয়ে বড় ব্যাপার সংবাদ মাধ্যমের জন্য আর কি হতে পারে! বিনোদনসহ প্রতিটি বিভাগই সর্বোচ্চ অ্যাফোর্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ যেতে হবে আরও বহু দূর। এই পথচলায় আরও যাদের প্রতি আমি খুব কৃতজ্ঞ তারা হলেন- নির্বাহী সম্পাদক শামীমুল হক ভাই, বার্তা সম্পাদক কাজল ঘোষ দাদা, প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজিদুল হক ভাই, নগর সম্পাদক লুৎফর রহমান ভাই, হেড অব স্পোর্টস সামন হোসেনসহ আমার সকল সহকর্মীদের।