ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আপন আলোয় মানবজমিন

আমার পত্রিকা ‘মানবজমিন’

কিসমত খোন্দকার, বিশেষ প্রতিবেদক, রাইজিংবিডি ডট কম
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার
mzamin

নানা কারণে দীর্ঘদিন কলেজ শিক্ষকতার পেশা বাদ দিয়ে সাংবাদিকতাকে কেন বেছে নিলাম? এ প্রশ্নের জবাব আমাকে অনেক জায়গাতেই দিতে হয়েছে। নতুন করে আর নাই বললাম। আমার প্রিয় কর্মস্থল ‘দৈনিক মানবজমিন’ প্রকাশনার ২৫ বছর পালন উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করতে আদিষ্ট হয়ে এই লেখার প্রচেষ্টা। কর্তৃপক্ষ শব্দের সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না।  

তবে মানবজমিনের সঙ্গে গাঁট বাঁধার স্মৃতিটুকু বলতে হবে। কয়েক মাস প্রশিক্ষণ শেষে শফিক রেহমানের সম্পাদিত ‘দৈনিক যায়যায় প্রতিদিন’ যাত্রা শুরু করার ৩৭ দিনের মাথায় পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এক ঝাঁক নবীন-প্রবীণ সংবাদকর্মীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। সে সময় কোথায় যাওয়ার ইচ্ছাও ছিল না। কিছুদিন সিলেটে কিছু করার চেষ্টা করি।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু সে চেষ্টা অজ্ঞাত কারণে বাদ দিতে হয়। ফিরে যাই নিজ এলাকায়। আমার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। কিছুদিন আগে বড় ভাই মৃত্যুবরণ করায় মা অনেকটাই ভেঙে পড়েন। এ সময় আমাকে কাছে পেয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এভাবে কিছুদিন কেটে গেল। কিন্তু কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করছিলাম।

এরমাঝে একদিন আমার বন্ধু দেশের প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ফোন করে জানালেন ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় রিপোর্টার নিচ্ছে যোগাযোগ কর।’ পত্রিকাটির বিনোদন পাতার ইনচার্জ মোশাররফ রুমি ছিলেন পূর্বপরিচিত। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হলাম। তার টেবিলে বসেই জীবন বৃত্তান্ত লিখে জমা দিয়ে আসি। কিছুদিন পর ইন্টারভিউ কার্ড আসে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। উত্তীর্ণ হলে ভাইভার মুখোমুখি হতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে লিখিত পরীক্ষা দিলাম। ১৫ জনের মতো প্রার্থী ছিলাম। তাদের মধ্যে আমার অবস্থান ছিল শীর্ষে। তারপর ভাইভা। সারা জীবন এই ভাইভা পরীক্ষার কথা শুনলেই আমার দু’হাঁটুর ঘর্ষণে একটা শব্দ হতো তা শুনে নিজেরই ভয় হতো। তার ওপর দেশের অন্যতম সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর মুখোমুখি হওয়া। আগের রাতে ঘুম হয়নি। রুমির কথায় আশ^স্ত হলাম। সে আমাকে নিশ্চিত করলেন, মতিউর রহমান চৌধুরীকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তিনি অত্যন্ত বন্ধু বৎসল। পরবর্তীতে তার প্রমাণও মিলেছে।

মতিউর রহমান চৌধুরীকে চিনতাম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর একজন অনুসন্ধানী রিপোর্টার হিসেবে। তার অনেক রিপোর্ট পড়েছি। তখন থেকে একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নিয়েছিল। তার সম্পাদিত পত্রিকায় কাজ করবো! এটা সত্যি জীবনের একটা স্বপ্নপূরণের মতো মনে হতো। ভাইভার দিন সম্পাদক সাহেব আমাকে বেশকিছু প্রশ্ন করেছিলেন। প্রায় সবগুলোর উত্তর দিয়েছিলাম। আমি কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে সাংবাদিকতা কেন করতে চাই? এই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম, আমার দুটো পেশার প্রতি নেশা ছিল। একটা শিক্ষকতা অপরটি সাংবাদিকতা।  মতি ভাই হেসে দিয়েছিলেন। শেষ প্রশ্নটি ছিল, একজন সম্পাদক সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? উত্তরে বলেছিলাম, সম্পাদক হচ্ছেন মানবদেহের হৃদযন্ত্রের মতো। আমাকে কাজে যোগদান করতে বললেন। নির্দিষ্ট দিনে কাজ শুরু করলাম। শুরু হলো ‘দৈনিক মানবজমিন’ পরিবারের একজন হিসেবে নতুন পথযাত্রা।  

আমি হুট করে পত্রিকা বদলানো আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। ১৯৭৮ সালে মিজানুর রহমানের সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক খবর’এর মির্জাপুর প্রতিনিধি হিসেবে আমার সাংবাদিকতা পেশার হাতেখড়ি। এরপর অনেক দিন পত্রিকাটির সঙ্গে ছিলাম। এরপর ‘দৈনিক যায়যায় প্রতিদিন’ এরপর ‘দৈনিক মানবজমিন’।
আমার সাংবাদিকতা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় কেটেছে মানবজমিনে। প্রথমদিন থেকে পত্রিকাটিতে কাজ করার শেষদিন পর্যন্ত প্রতিটা দিন একইভাবে কেটেছে। বলতে দ্বিধা নেই সাংবাদিকতার যতটা শিখেছি সেটা মানবজমিনেই শিখেছি। তখন আমাদের প্রধান প্রতিবেদক বা চিফ রিপোর্টার ছিলেন জাহেদ চৌধুরী আর সহকারী চিফ রিপোর্টার ছিলেন সারোয়ার হোসেন। জাহিদ চৌধুরী অত্যন্ত ভদ্র এবং নরম মনের একজন মানুষ ছিলেন। রিপোর্টারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতেন সারোয়ার হোসেন। কাজের বিষয়ে তিনি সিরিয়াস ছিলেন। কোনো ফাঁকি দেয়ার সুযোগ ছিল না। রিপোর্টারদের প্রায় সব নিউজ তিনিই দেখতেন। তারপর ডেস্ক হয়ে সম্পাদক মতি ভাইয়ের টেবিলে। যখন মতি ভাইয়ের টেবিলে নিউজ যেত তখন আমাদের সবার মধ্যে একটা ভয় ভয় অবস্থা বিরাজ করতো। মতি ভাই কখনো কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন না। তবে প্রতিটা নিউজের কোথায় কি ঘাটতি আছে, কোথায় ভুল, কোথায় কি প্রয়োজন এসব ধরিয়ে দিতেন। সেভাবেই প্রতিটা নিউজ ছাপার যোগ্য করে তোলা হতো। পরের দিন যখন সংবাদটি ছাপা হতো সেটা দেখে আমরা অবাক হতাম। প্রতিদিনই আমরা এভাবে শিখেছি। এ কারণেই দেশের খ্যাতিসম্পন্ন গণমাধ্যমগুলোর শীর্ষস্থানে মানবজমিনের রিপোর্টাররা জায়গা করে নিয়েছেন।  

মানবজমিনে প্রথম দিকে ক্রাইম এবং পরে জেনারেল বিটে রিপোর্ট করেছি। জাহেদ চৌধুরী আমার দেশ পত্রিকায় চলে গেলে সারোয়ার হোসেন চিফ রিপোর্টার হন। এরমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় দেখার জন্য একজন রিপোর্টার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। একদিন সারোয়ার হোসেন আমাকে বললেন, আপনাকে অর্থ মন্ত্রণালয় দেখতে হবে। তার এ প্রস্তাবে আমি সরাসরি না করি। সারোয়ার ভাই বললেন আপনি মতি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলুন। আমি মতি ভাইয়ের রুমে ঢুকে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি। মতি ভাই মুচকি হেসে বললেন, আপনি অর্থনীতির ছাত্র, অনেকদিন একটি কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। আপনিই পারবেন। নতুন কাউকে নিতে চাচ্ছি না। মতি ভাইয়ের কথার বাইরে যাওয়ার সাহস আমার ছিল না। সেদিন থেকেই অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রেডবডি, শেয়ার বাজার, তৈরি পোশাক, শিল্প এসব বিষয় দেখতে থাকি। সে সময় বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ ও হেরোইন পাচারের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। আমার ওপর দায়িত্ব পড়ে বিমানবন্দর দেখার। সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে।

২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ‘দৈনিক মানবজমিন’ এ আমার বেশ কয়েকটি রিপোর্ট আলোচিত হয়েছে। এরমধ্যে দুটি ঘটনা না বললেই নয়। ঢাকায় সেবার ডায়রিয়া ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চুল ঝরে পড়ার ঘটনাও বাড়ছিল। চিকিৎসকরা এর জন্য দূষিত পানিকে দায়ী করেন। মতি ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে ওয়াসার পানির ওপর একটা রিপোর্ট তৈরি করতে বলেন। আমি কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না। আমাকে পথ দেখান সারোয়ার ভাই। প্রতিবারই তিনি আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। রিপোর্টটির জন্য আমাকে সাত দিন সময় দেয়া হয়েছিল। প্রতিদিন মাঠ পর্যায়, বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সারোয়ার ভাইকে বলতাম তিনি লেখানোর লাইনটা ধরিয়ে দিতেন। এভাবে রিপোর্টটি শেষ করি। এরপর দুই দিন কেটে যায় নিউজ ছাপা হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানলাম রিপোর্টটি মতি ভাইয়ের কাছে আছে।

তিনদিনের দিন সন্ধ্যায় আমাদের ফটোগ্রাফার স্বপন ভাই (যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়াত) আমাকে বলেন, কিসমত ভাই আপনাকে খুব বিশ্রী লাগছে। কেন আজ গোসল করেন নাই (সত্যিকারেই সেদিন গোসল করা হয়নি)। চলেন আমার বাসায় যাই। আপনার ভাবী ছিট রুটি এবং কবুতরের মাংস রান্না করেছে। আপনাকে যেতে বলেছে। কি ভেবে যেন আমিও রাজি হয়ে যাই। তার বাসায় যাওয়ার পর বাথরুম দেখিয়ে হাতে একটা টাওয়েল ধরিয়ে দিয়ে বলেন, যান গোসলটা সেরে নিন। আমি খাবার রেডি করি। বাথরুমের দরজা বন্ধ করতে গিয়ে দেখি তাতে ছিটকিনি নেই। স্বপন ভাইকে বললাম। তিনি বললেন ওদিকে কেউ যাবে না। আপনি গোসল করে নেন। আমি তার কথামতো গোসল করে বের হয়ে খাবার টেবিলে যাই। তারপর সেখান থেকে মহাখালী হয়ে মির্জাপুরে বাড়ি চলে যাই। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন। আমার মা অসুস্থ থাকার কারণে প্রায় আড়াই বছর মির্জাপুর থেকে ঢাকা অফিস করেছি। একমাত্র সারোয়ার ভাই বিষয়টি জানতেন। পরে মতি ভাইও অবহিত হন। মতি ভাই শুধু বলেছিলেন, আপনার আম্মা অসুস্থ কথাটি আগে বলা উচিত ছিল। তাহলে আপনাকে এত চাপ সহ্য করতে হতো না। সেদিন মতি ভাইয়ের মানবিক দিকটা আমাকে অভিভূত করেছিল। সে যাক পরের দিন সকালে আমার নিউজটি লিড হয়েছিল। নিউজের সঙ্গে যে ছবি প্রকাশিত হয়েছিল সেটি নিউজের সঙ্গে মানান সই ছিল। অর্থাৎ শাওয়ারের নিচে যিনি গোসল করছেন তার মাথার পেছনটা ‘টাক’। আমি তখনও বুঝিনি। অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সবাই বলতে শুরু করেন, ভাই মডেলিং কবে থেকে শুরু করলেন। তখন বুঝতে পারলাম এটা স্বপন ভাইয়ের কাজ। স্বপন ভাইকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যান মতি ভাইকে বলেন। এটাই মতি ভাই।

আর একবার, মতি ভাই অফিসে ঢুকলেন। তার গায়ে যে কোটটা ছিল সেটার জায়গায় জায়গায় রং ঝলসে গেছে। মতি ভাইয়ের নজরে আনা হলো। সে সময় বেস্টক্লিন নামে একটি ড্রাইক্লিনার ছিল। সেখান থেকেই মতি ভাইয়ের কোটটি ধোলাই করা হয়েছিল। পরের দিন অ্যাসাইনমেন্ট। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। কোথা থেকে শুরু করবো। সে সময় সারোয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমি এবং নাজমুল ইমাম একই বাসায় থাকতাম। সারোয়ার ভাই আর আমি কাঁঠালবাগান বাজারে যাই। আমার মাথায় শুধু বেস্টক্লিন। বাজারের একটি লন্ড্রির সামনে একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। কিছুক্ষণ পর লন্ড্রির মালিক অনেকগুলো কাপড় সেই ভ্যানে তুলে দেন। ভ্যানটি চলে যায়। আমার মুভমেন্ট দেখে সারোয়ার ভাই বুঝতে পারেন। তিনি বললেন, আপনি ঠিক জিনিসই দেখেছেন। এটাই আপনার প্রতিবেদনের উৎস।

আমি লেগে যাই। লন্ড্রির মালিকের সঙ্গে খাতির জমিয়ে নানা বিষয় জেনে নেই। প্রচুর তথ্য পাই। তারপর গ্রীন রোড, মিরপুর রোড,গাউছিয়া মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড এবং নগরীর অন্য স্থানে নামি লন্ড্রিগুলোতে খোঁজ নেই। একদিন সদরঘাট থেকে শুরু করে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ধরে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার হেঁটে দেখি অনেক ধোপাশালা। যেখানে বিশাল বিশাল পাত্রে কাপড় রেখে বুড়িগঙ্গা নদীর দূষিত পানিতে ধোয়া হচ্ছে। পাত্রগুলোর পাশেই ব্লিচিং পাউডারের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারলাম কাপড় পরিষ্কার করতে ব্লিচিং পাউডার এবং নিম্নমানের সাবান ব্যবহার করা হচ্ছে। সবগুলোর ছবি তুলে রাখলাম প্রমাণ হিসেবে। এই জায়গাগুলোতে নতুন বিষয় জানতে পারলাম শুধু লন্ড্রির কাপড়ই নয় ঢাকা মহানগরীর নামিদামি হোটেল এবং হাসপাতালের তোয়ালে, বিছানার চাদর, অ্যাপ্রোনও একইভাবে পরিষ্কার করা হয়। নদীর পাড়েই রশিতে কাপড়গুলো শুকিয়ে লন্ড্রিতে নিয়ে ইস্ত্রি করা হচ্ছে। এরপর সেগুলো গ্রাহকদের হাতে যাচ্ছে। তারপর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট জমা দিলাম। দুইদিন পর মতি ভাইয়ের হাত ঘুরে ‘বেস্ট ক্লিনিংয়ের বেস্ট চিটিং’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও বিশেষ কারণে ‘দৈনিক মানবজমিন’ এ পাঁচ বছর কাজ করার পর ‘দৈনিক সমকাল’ এ যোগ দেয়ার কথা বলতে মতি ভাইয়ের কাছে যাই। প্রথমে কথাই বলতে পারিনি। আমার দু’চোখে পানি নেমে আসে। মতি ভাই জিজ্ঞেস করেন, কি হয়েছে? আমি তাকে জানাই। তিনি বললেন, এতে কান্নার কি আছে? ভালো কথা। ভালোভাবে কাজ করবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। আমি আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। মতি ভাই তার সিট থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, না আমি রাগ করিনি। এটাই সাংবাদিকতা। আজ এখানে কাল আর এক জায়গায়। আরও বড় রিপোর্টার হন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন পেশার প্রতি সততা বজায় রাখবেন।

হ্যাঁ, মতি ভাই আজ নিঃসংকোচে বলতে পারি, আপনার কাছ থেকে যা শিখেছি সেটাই আজো ধরে রেখেছে। বড় মানের সাংবাদিক হতে পারি নাই। তবে পেশাগত সততা ধরে রাখতে পেরেছি। এটাই জীবনের বড় পাওয়া যা আপনার কাছ থেকে শিখেছি। ‘দৈনিক মানবজমিন’ এখনো আমার পত্রিকা। এর উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করছি।

আপন আলোয় মানবজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

আপন আলোয় মানবজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status