ঢাকা, ৪ মে ২০২৪, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আপন আলোয় মানবজমিন

আমার ব্যারিস্টার হয়ে উঠার পেছনের গল্প

ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার
mzamin

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ২৫ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে যেকোনো অর্থে এটি একটি ভালো খবর। বাংলাদেশে এটি প্রথম ট্যাবলয়েড পত্রিকা। শুরুর দিক দিয়ে মানবজমিনকে নিয়ে নানা  নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও ক্রমে ক্রমে পাঠকমহলে জায়গা করে  নেয় মানবজমিন। মানবজমিনে আমি যোগদান করি ২০০৫ সালে। দীর্ঘদিন পত্রিকাটির সঙ্গে সঙ্গে জড়িত ছিলাম ওতপ্রোতভাবে। এখনো নিজেকে মানবজমিন পরিবারের সদস্য মনে করি। মানবজমিন দীর্ঘ এই সময়ে নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। সংকট কাটিয়ে মানবজমিন চলেছে তার আপন গতিতে। মানবজমিন পত্রিকা ও এর সদস্যরা আমার কাছে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটিতে সিনিয়র রিপোর্টার থাকাকালীন সময়েই আমি সিদ্ধান্ত নেই বার-অ্যাট ‘ল’ পড়ার।

বিজ্ঞাপন
পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতি ভাই’র (মতিউর রহমান  চৌধুরী) সঙ্গে পরামর্শ করি। তিনি অত্যন্ত খুশি হন ও লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধীনে কোর্স পরিচালনাকারী এলসিএলএসে (সাউথ) এলএলবি অনার্সে ভর্তির পরামর্শ দেন। যথারীতি ভর্তি হয়ে যাই। ক্লাসে যোগদান করি। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। দু’টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় নিয়মিত অংশগ্রহণ ও পত্রিকার জন্য রিপোর্ট সংগ্রহ করে অফিস করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। ওইসময়ে নিউজ এডিটর শামীমুল হক,  চিফ রিপোর্টার কাজল ঘোষ, পরে চিফ রিপোর্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমার বন্ধু লুৎফুর রহমান নানাভাবে সহযোগিতা করেন। এলএলবি শেষ বর্ষ ও বার-অ্যাট ‘ল’ করতে ২০১৪ সালে লন্ডন চলে যাই। তখনো মানবজমিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। লন্ডন  থেকে মানবজমিনের জন্য নিয়মিত লেখা পাঠাতাম। লন্ডন থাকাকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়। ওই সময়ে মানবজমিনে আদালত বিট করতেন বর্তমান প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজিদুল হক। তিনি নানা বিষয়ে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া মানবজমিনে শুরু  থেকেই রিপোর্ট লেখার কাজে সবচেয়ে সহযোগিতা করেছেন ওই সময়ের চিফ রিপোর্টার সারোয়ার  হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক কবি সাজ্জাদ কাদির স্যার। এ ছাড়া এডিটিং শাখার গাজী ভাই, কূটনৈতিক রিপোর্টার মিজানুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খান বাবর আশরাফুল হকসহ অন্যরা নানাভাবে সাহায্য করেছেন। সর্বোপরি পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মাহবুবা চৌধুরীর কথা না বললেই নয়। তিনি আমাকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি আমার লেখার ভক্তও ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি থাকাকালীন একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম ‘ঘুম আসে না  কোকিলের কুহুতানে’। সেই থেকে তিনি আমার লেখার ভক্ত হয়ে উঠেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নিতেন ও পরামর্শ দিতেন। আর ড. মেহযেব চৌধুরীর কাছ থেকে নিয়েছি বিভিন্ন আইনি পরামর্শ। পত্রিকাটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও এখনো মানবজমিন পরিবারের সদস্য মনে করি। সত্য প্রকাশে মানবজমিন সর্বদা আপোষহীন থাকবে এই প্রার্থনা করি।

লেখকঃ অনারেবল সোসাইটি অব লিঙ্কন’স ইন’র সদস্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং যুদ্ধাপরাধ আইনের গবেষক

আপন আলোয় মানবজমিন থেকে আরও পড়ুন

আপন আলোয় মানবজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status