ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আপন আলোয় মানবজমিন

ইতিহাস গড়ার মুহূর্তগুলো

শহিদুল আজম, হেড অব ইনপুট, এটিএন নিউজ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
mzamin

ট্যাবলয়েড দৈনিক? বাংলা ভাষায়! কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে? নতুন শতাব্দীর প্রায় দুই যুগে পা দিয়ে হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর সহজে অনুমানের সুযোগ নেই। তবে, সময় ঘড়িতে পেছনে ফেরা গেলে সে সময়ে মানুষের অবিশ্বাস, টিপ্পনি, সংশয়ের প্রতিক্রিয়া এখনো দিব্যি চোখে দেখা যেতো। তবে, এর মানে এই নয় যে, আত্মবিশ্বাসহীনতা সবার মধ্যেই ছিল। নতুন কিছু সৃষ্টিতে যারা আনন্দ, অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে বেড়ান, তারা আগাম সাধুবাদ জানিয়ে রেখেছিলেন; প্রথম ট্যাবলয়েড দৈনিকের মিশন ইম্পসিবল হওয়ার সুযোগ নেই। 
সামনে এগুনোর লক্ষ্য স্থির থাকলে পেছনে চলে যাওয়ার শঙ্কাও দূরে চলে যায়। দৈনিক মানবজমিনের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। ঝড়, ঝঞ্ঝা পার করে মানবজমিন তাই কোনো সংশয়ে নেই। এখন অনেক পরিণত। যৌবনে এসেই দেশ- বিদেশের অহংকার।
প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু এবং
সময়ের আগেই এ দেশে বাংলাভাষার প্রথম ট্যাবলয়েড দৈনিকের জন্ম- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে দৈনিক মানবজমিনের আত্মপ্রকাশের সময়টা অনুকূলে ছিল না। ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট দুর্ঘটনায় প্রেমিকসহ প্রাণ হারান প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানা।

বিজ্ঞাপন
তার মৃত্যুর পর কাঠগড়ায় দাঁড়ায় বৃটেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা এবং পাপারাজ্জি। বৃটিশ পত্রিকাগুলো পাপারাজ্জিদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ডায়ানার মৃত্যুর পর তারাই পাপারাজ্জিদের গোষ্ঠী উদ্ধার করে। এ খবর সাতসমুদ্দর তেরো নদী পার হয়ে আমাদের এখানেও আসে। ডায়ানার প্রতি একটা আলাদা প্রেম আমাদের দেশের মানুষের হৃদয়েও। সাধারণ মানুষ ধারণা করেই নেন, পাপারাজ্জিরা পিছু না লাগলে সর্বনাশ হতো না ডায়ানার। আর ট্যাবলয়েডগুলোই পাপারাজ্জিদের বেপরোয়া করেছে। এই সমালোচনার ঝড়েই ওই বছরে বাংলাদেশে ট্যাবলয়েড দৈনিকের যুগের সূচনার সংবাদটা কম চ্যালেঞ্জের ছিল না। বিশেষ করে দেশের পাঠকরা যখন ব্রডশিট পত্রিকায় অভ্যস্ত, তখন নতুন কিছু করার চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই। কিন্তু এর স্বপ্নদ্রষ্টা যে শ্রদ্ধেয় মতিউর রহমান চৌধুরী, আমাদের প্রিয় মতি ভাই। সাংবাদিক হিসেবে আগাগোড়াই যিনি ঝুঁকিটা দারুণভাবে উপভোগ করেন, তিনি কোনো অনিশ্চয়তাকেই আমলে নিলেন না। 
দ্য এ টিম
আমাদের যে টিমটি মানবজমিন-এর প্রথম প্রকাশে যুক্ত হয়েছিল, সেটি ছিল পরীক্ষিত। মতি ভাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় কঠোর অনুশীলন করেছি বাংলাবাজার পত্রিকায়। মতি ভাই ওই পত্রিকারও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে বকেয়া বেতন নিয়ে আন্দোলন হয় বাংলাবাজার পত্রিকায়। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ সম্পাদককে না জানিয়েই আন্দোলনকারী ৭ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করে। এ নিয়ে বাংলাবাজার পত্রিকা অফিস উত্তপ্ত হয়। জোরালো প্রতিবাদ করেন বাংলাবাজার পত্রিকার সে সময়ের সম্পাদক মতি ভাইও। মালিকপক্ষকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু তারা রাজি হননি। সম্পাদকের মর্যাদা রক্ষায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন মতি ভাই। তিনি এ খবর নিউজরুমে এসে জানাতেই সে সময়ের বার্তা সম্পাদক মরহুম আহমেদ ফারুক হাসানও মতি ভাইয়ের পথ অনুসরণ করেন। আমি তখন বাংলাবাজার পত্রিকায় চিফ রিপোর্টার। ফারুক ভাইয়ের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেই আমিও। ব্যস্! বাংলাবাজার পত্রিকায় পাঠ চুকে যায়। আমাদের পেছন পেছন দেড় শতাধিক সংবাদকর্মী বের হয়ে আসেন রাস্তায়। পরের দিন বাংলাবাজার পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি। অন্য পত্রিকায় শিরোনাম হয় আমাদের আন্দোলন। যেখানে বলা হয়, এমন প্রতিবাদ নজিরবিহীন। কিন্তু বাংলাবাজার পত্রিকা ছেড়ে আসা এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান হবে কীভাবে? এর ব্যবস্থা করতে গিয়েই জন্ম নিলো দৈনিক মানবজমিন। সাপ্তাহিক মানবজমিন  দৈনিকে রূপ পেলো। তাই মানবজমিন শুধু একটি প্রকাশনা নয়। অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিবাদের দৃষ্টান্ত। সম্পাদকীয় মর্যাদা রক্ষার উদাহরণ।
অনভ্যস্ত পাঠক, সাংবাদিক
২৫ বছর আগে ট্যাবলয়েড দৈনিক নিয়ে পাঠকের অনভ্যস্ততার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদকর্মীদের অনভিজ্ঞতাও কম ছিল না। আমাদের একটু সাহস ছিল, তাহলো আমরা সবেমাত্র ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছি। কম্পিউটারের স্ক্রিনে বিদেশি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস রপ্ত করছি। যদিও এখনকার মতো সেগুলোর উপস্থাপনা আধুনিক ছিল না। কিন্তু টিম মানবজমিনের প্রতিটি সদস্যের চিন্তা-চেতনা আধুনিক ছিল। তারা ছিলেন দ্রুতগতি সম্পন্ন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- টিমের প্রতিটি সদস্যের ভেতর নতুন কিছু করার একটা স্পৃহা ছিল। সে কারণেই সব অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। মানবজমিন ব্রডশিট দৈনিকগুলোর সঙ্গে সমানতালে টেক্কা দিয়ে দ্রুতই একটা আলাদা অবস্থান গড়তে পেরেছে। 
সন্ধ্যারাতেই সব শেষ! 
সংবাদকর্মীদের জন্য সবচেয়ে ঝাঁকুনিটা ছিল মতি ভাইয়ের একটি ঘোষণা। সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যেই শেষ করতে হবে ভেতরের সব পৃষ্ঠার মেক-আপ। রাত ৮টার পরই ছাপা হবে পত্রিকা। যেদিন তিনি কথাটা বললেন, বিশ্বাস হলো না অনেকেরই। বার বার প্রশ্নে যখন নিশ্চিত হওয়া গেল, দেশের প্রথম ট্যাবলয়েড দৈনিকের বৈশিষ্ট্যই হবে- আগে বাগে ছাপানো। তখন কারও কারও অবিশ্বাসী চোখ,  তাহলে তো অনেক খবরই দেয়া যাবে না। মধ্যরাতের কাছাকাছি প্রথম সংস্করণ, শেষ রাতে দ্বিতীয় সংস্করণের দীর্ঘ ঐতিহ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনটা এনেছে বাংলাদেশের প্রথম রঙিন ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিনই। 
প্রথম সংখ্যা ৯৬ পৃষ্ঠার
৯৬ পৃষ্ঠার প্রথম সংখ্যা বেরিয়েছিল ১৯৯৮-এর ১৫ই ফেব্রুয়ারি। ভোরের সূর্য তখন মাঝ আকাশও পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু এজেন্ট আর হকারদের ভিড় মানবজমিনের সার্কুলেশন বিভাগের সামনে। সবারই দাবিÑ আরও পত্রিকা দিন। সকালে যে কপিগুলো দিয়েছিলেন, নিমিষেই বিক্রি শেষ। পাঠকদের বিপুল আগ্রহ। ইতিহাস তো এভাবেই রচিত হয়। 
পাঠকরা কি পেয়েছেন?
দীর্ঘ এ পথচলায় পাঠকরা কি পেয়েছেন- এর হিসাব হয়তো তারাই মেলাবেন বা মেলাচ্ছেন। তবে মানবজমিন দেশের সংবাদপত্র জগতে অসংখ্য সাহসী, পরিশ্রমী, অনুসন্ধিৎসু কলম সৈনিক উপহার দিয়েছে। তারা হয়তো একই ছাতার নিচে নেই। পেশাগত জীবনের বিস্তৃতি ঘটাতে একেকজন একেক স্থানে। কিন্তু  তথ্যানুসন্ধান, কর্তব্যপরায়ণতায় আর সবার সঙ্গে তাদের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়।
ভাবতে ভীষণ ভালো লাগছে, গর্ব হচ্ছে মানবজমিনের ইতিহাস গড়া প্রথম টিএমের আমিও একজন সদস্য। শুধু তাই নয়, পত্রিকা প্রকাশের আগে থেকে এর নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন পত্রিকায় মানবজমিনের যত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল, এর সিংহভাগই তৈরি করেছিলাম আমি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মানবজমিনের পক্ষে প্রথম পুরস্কারটিও আমিই ছিনিয়ে এনেছিলাম। আরও অনেক ইতিহাসের সঙ্গেই  ছিলাম। সে কারণে মানবজমিন আমার কাছে অন্যরকম এক প্রাপ্তি। এতদিন পরও স্মৃতিগুলো আমাকে খুব নাড়া দেয়। এখনো আমি ইতিহাস গড়ার সেই মুহূর্তগুলো স্মরণ করি। এর সঙ্গে কাজ করার সেই দিনগুলো নিঃসন্দেহেই প্রেরণার। 
প্রথম পুরস্কারের অভিজ্ঞতা
আমার রিপোর্ট দিয়ে মানবজমিনের প্রথম পুরস্কার অর্জনের সেই স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল। ঘটনা ১৯৯৯ সালের। বাংলাদেশের অভিষেক বিশ্বকাপ কভার করে সবেমাত্র দেশে ফিরেছি। তখনই কোনো একদিন মগবাজারের একটি ক্লিনিক থেকে খবরটি পাই। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে যে শিশুটিকে ফেলে দিয়েছিলেন ডাস্টবিনে, সে আর্তচিৎকার করছে বেঁচে থাকার জন্য। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটি ওই ক্লিনিকে। সেখানে কোনো ইনকিউবেটর ছিল না। অসহায় এক পিতা তার অপরিণত সন্তানকে বাঁচাতে এম্বুলেন্স নিয়ে একের পর এক ৭টি হাসপাতালে ছুটে যান। আকুতি জানান। কিন্তু ব্যর্থ হন। চরম অবহেলায় ভোরের সূর্য ওঠার আগে নবজাতক মারা যায়। একটি জীবন বাঁচাতে একটি পরিবারের ছুটে চলার প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী ছিলাম আমি। শীর্ষ খবর হিসেবে এটি চাপা হয়েছিল মানবজমিনে। আর এর পর ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে যায় চারদিকে। সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। শিশু হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে ইনকিউবেটরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এখন রাজধানীর কম-বেশি সব হাসপাতাল, ক্লিনিকেই ইনকিউবেটর রয়েছে। এ রিপোর্টটির জন্য আমি পিআইবি-ইউনিসেফ পুরস্কার ২০০০-এ প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হই। মানবজমিনের জন্য আমরা এভাবে সরজমিন রিপোর্ট করেছি। অন্যের কথা শুনে নয়, নিজে দেখে, অনুসরণ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তথ্যানুসন্ধান করে তবেই লিখেছি। এটাই ছিল আমাদের দীক্ষা। তবে উল্লেখ করার মতো ঘটনা হলো, যে ক্লিনিক নিয়ে আমি আলোচিত ওই প্রতিবেদনটি লিখেছিলাম, তাদেরই অভিভাবক সংস্থা আমাকে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ কভারে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। সঙ্গতকারণেই তাদের আফসোস ছিল খানিকটা। কিন্তু পুরস্কার জেতার পর আবার আমাকে তারাও অভিনন্দন জানায়। 
খবরের পেছনের খবর
খবরের পেছনের খবর ভিন্নভাবে উপস্থাপনই যে মানবজমিনের লক্ষ্য- সেটি প্রমাণিত হয়ে গেছে নানা ভাবে। দীর্ঘ পথচলায় মানবজমিনের চৌকস রিপোর্টাররা এমন কোনো স্থান নেই, যেখান থেকে সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার ছিনিয়ে আনেননি। মানবজমিনে কাজ করার সময় সেরা রিপোর্টিংয়ের জন্য আমিও তিনটি পুরস্কার পেয়েছি। এমনকি বার্তা সম্পাদক থাকার সময়ও রিপোর্টিংয়ের প্রতিযোগিতায় ছিলাম। এজন্য অনেক বড় ভাই আমার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু বলতাম একটি কথা- যে পত্রিকার সম্পাদক এখনো রিপোর্টের পেছনে ছুটেন, এর বার্তা সম্পাদক তো আর এর চেয়ে আলাদা হতে পারেন না।
পাওয়া না পাওয়া
দীর্ঘ পথচলা। আকার-আয়তনে এমনকি চরিত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। তবুও খবরের পেছনের খবরের কথা বললেই চলে আসে মানবজমিনের নাম। কারণ যার চিন্তার ফসল দেশের প্রথম রঙিন ট্যাবলয়েড দৈনিক, তিনি মনে প্রাণে একজন  রিপোর্টার। খবরের কোনো ঘ্রাণ পেলে তিনি নিজেই ছুটেন। রাজনীতি, কূটনীতি তার প্রিয় বিষয়। বিশ্বকাপ ফুটবল কভারকারী দেশের প্রথম সাংবাদিক। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতাও বা বাদ দেননি। এর সংবাদকর্মীরাও তাই অলরাউন্ডার হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। আর অলরাউন্ড নৈপুণ্য যেখানে থাকবে, সেখানে সাফল্য আসবেই আসবে। এরপরও পাওয়া না পাওয়ার হিসাব আছে। শুরুতে যে অনুসন্ধানের যে ধার ছিল, সেটি কখনো কখনো অনুপস্থিত। সময়ের কারণে নাকি সেলফ সেন্সরশিপ? শুরুর দিকে জনপ্রিয় এবং বিশেষ অনেক বিভাগই হারিয়ে গেছে। নেই সম্পাদকীয়। ট্যাবলয়েডের দায় নিয়ে মানবজমিনের যে রিপোর্ট নিয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে, হালে ঐতিহ্যবাহী দৈনিকগুলো ভিউ বাড়াতে সে রিপোর্ট ছাপছে। মানবজমিন সেক্ষেত্রে যেন অনেকটা সহনশীল। ২৫ বছর পর মানবজমিনের কাছ থেকে আরেকটা পরিবর্তনের ঝড় আশা করি। তবে বিপরীত পরিবেশেও নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলায় প্রধান সম্পাদক মতি ভাই, সম্পাদক-প্রকাশক মাহবুবা চৌধুরীসহ মানবজমিন পরিবারের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। অভিবাদন মানবজমিন, আমার হৃদয়।

আপন আলোয় মানবজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

আপন আলোয় মানবজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status