আপন আলোয় মানবজমিন
স্নেহের চিঠি
আরিফ হায়দার, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
‘দৈনিক মানবজমিন’ শুধুমাত্র আমার কাছে একটা দৈনিক পত্রিকা নয়, আমার জীবিকার একটা অধ্যায়। এই পত্রিকার কর্ণধার মতিউর রহমান চৌধুরী। তাঁকে প্রথম দেখি অন্নদাশঙ্কর রায়-এর বাসায়। (বালিগঞ্জ,কলকাতা) কারণ একটাই নির্বাসিত কবিবন্ধু দাউদ হায়দারের সাথে দেখা করতে গিয়েছেন মতি ভাই(১৯৯৭)। তাঁরা দু’জন বন্ধু। ঐ প্রথম মতি ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমি তখন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষে করে বাংলাদেশে ফিরবো। তারপর বাংলাদেশে ফিরে মানবজমিনের অফিসে মতি ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে এক বিপত্তি ঘোটলো। বিনোদন শাখার মোশাররফ রুমিকে বলা হলো আমার একটা সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার, রুমি বিনোদনের বিভাগীয় সম্পাদক,তিনি রিপোর্টার সীমান্ত খোকনকে বললেন আমার সাথে কথা বলার জন্য, কথা হলো, অপেক্ষায় আছি, কবে আমার কথাগুলো মুদ্রীত অক্ষরে দেখবো। অবশেষে আর ছাপা হলোনা।
‘নাট্যাঙ্গন’ বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার মধ্যে সর্বপ্রথম মঞ্চ নাটকের পাতা। এমন একটা সাহসী পদক্ষেপ দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদকের পক্ষ্যেই নেওয়া সম্ভব। নাট্যাঙ্গনের পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের কাজ করতে গিয়ে অনেক নাটকের মানুষদের সাথে পরিচয় হয়েছে। নিজের লেখার স্বাধীনতা পেয়েছি। মানবজমিনে কাজের সুবাদে মিসির ভাই, সাযযাদ কাদির ভাই এর মতো মানুষদের সান্নিধ্য পেয়েছি। একটা স্মৃতি খুব মনে পড়েজ্জ গোলটেবিলে বসে লিখছি, এমন সময় মতি ভাই এসে দাঁড়ালেন, কিছুক্ষণ পরে বললেন ‘আরিফ লিখতে পারে বলেই কিন্তু ওকে পাতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, দাউদের ভাই বলে নয়...’ আমার তখন মনে হয়েছিল, অফিসে হয়তো এমন কোনো কথা উঠেছে বলেই হয়তো সবার সামনে এমন কথা...।
মানবজমিনের ‘নাট্যাঙ্গন’র পাতা আমাকে নাটকের সমালোচনা লিখতে শিখিয়েছে, দৈনিক পত্রিকার প্রসোব বেদনা শিখিয়েছে। আজ আমাকে মানবজমিন সম্পর্কে একটু লিখতে বলা হয়েছে, একটু লেখাতে কি শেষ করা যায়? তবে একটা স্নেহের চিঠি উপস্থাপন করেই শেষ করতে চাই চিঠিটি মতি ভাই লিখলেন-
তারিখ: ০১-০৮-২০০০ ইং
প্রিয় আরিফ,
প্রীতিময় শুভেচ্ছা। অভিনন্দন তো বটেই। একা নয় কিন্তু। কবিতাকেও পৌঁছে দেবেন। প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই খুশির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছি না। কারণ, ব্যস্ততা। ঢাকায় এলে দেখা হবে, কথা হবে। অপেক্ষার পালা কবে যে শেষ হবে? খালাম্মাকে সালাম জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
মতি ভাই